Image description

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় ধান ক্ষেতে তাণ্ডব চালিয়েছে বন্য হাতির দল। এতে প্রায় ১ একর ৫০ শতকের বেশি আধা পাকা ও পাকা আমন ধান নষ্ট হয় বলে জানিয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ক্লিন্টন দাস। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

কৃষি কর্মকর্তা জানান, কলাইয়া পাড়ার কৃষক শফিকা বেগম চলতি মৌসুমে ৪০ শতক জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন। ইতিমধ্যে ক্ষেতের ধান পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু তার ২০ শতক জমির বোরো ধান খেয়ে ফেলাসহ নষ্ট করেছে হাতির দল। এছাড়াও বেবি আক্তারের ২০ শতক, দেলোয়ার হোসেনের ২০ শতক, সাবেকুন্নাহারের ৪০ শতক, আব্দুল গনির ৪০ শতক ও মো. মাইন উদ্দিনের ১০ শতক জমির বোরো ধান নষ্ট করে ওই বন্য হাতির দলটি।

কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এর ফলে ৬ কৃষকের দুই লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত ধান ক্ষেতে গিয়ে জানা গেছে, গত ৭-৮ দিন ধরে ১৪-১৫টির একটি বন্য হাতির দল অবস্থান করছে উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি কালাইয়া পাড়া সংলগ্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চলে। সেখান থেকে দিনের বিভিন্ন সময়ে জমিতে নেমে আমন আবাদ বিনষ্ট করছে। এসময় কৃষকরা সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত জেগে থেকে আগুন জ্বালিয়ে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চালায়। এতেও ধান রক্ষা করতে পারছেন না কৃষকরা।

বন্যহাতির তাণ্ডবে কৃষকের জমির ধান নষ্টের সত্যতা নিশ্চিত করে সরই ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. বাবুল মিয়া ও মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বন্য হাতিগুলো পাশের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কালাইয়া পাড়ায় ঢুকে বোরো ধান নষ্ট করে চলেছে। এতে কৃষকের দুই লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। চিৎকার, পটকা ও আগুন জ্বালিয়ে ফসল রক্ষার চেষ্টা চালায় কৃষকরা।

এ বিষয়ে লামা বন বিভাগের সরই বন ক্যাম্প কর্মকর্তা মো. তানবির খলিল চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ধান ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরকে বন বিভাগের বিধিমতে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মানবকণ্ঠ/এসআর