গাজীপুরের টঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এরশাদনগর চানকিরটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, স্থানীয় দুজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও তাঁদের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে হৃদয় হোসেন নামের একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি এরশাদনগরের ১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা। আহত বাকি চারজনের নাম-পরিচয় প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। অন্যদিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাজল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন ও কামরুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাঁদের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। এর মধ্যে গতকাল রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বাড়িতে হামলা–ভাঙচুর চালানো হয়। শটগানের গুলি ও ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করা হয়। ওই সময় হৃদয়কে কুপিয়ে জখম করে হামলাকারীরা। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ প্রসঙ্গে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার আহমেদ জানান, কামরুল ইসলাম এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাও আছে। অন্যদিকে আনোয়ার হোসেনও এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় আটক কাজলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত করে ঘটনায় জড়িত বাকি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments