বগুড়ায় নিখোঁজের এক দিন পর প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে মাহাদি হাসান (৫) নামের এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তহমিনা আক্তার নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। শহরের চারমাথার ধমকপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভোরে তাহমিনার বাড়ি থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে নিখোঁজ ছিল মাহাদী। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও সন্ধান না পাওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। অভিযোগ উঠেছে, বিস্কুট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিশুকে ডেকে নিয়ে যায় তহমিনা । আজ ভোরে মরদেহ বের করার জন্য তার বাড়ির পেছনের দরজায় শব্দ পেলে তাকে আটক করা হয়।
স্থানীয় এক নারী বলেন, ‘আজকে ভোরে যখন কিছুটা অন্ধকার অন্ধকার ছিল, তখন ওই নারী (তাহমিনা) ঘরের দরজা খোলে। এ সময় অনেক শব্দ হওয়ায় তার বাড়ির পাশের একজন ঘরের জানালা খুলে তাঁকে দেখতে পান। এ সময় তিনি ওই নারীকে বলেন- তুমি এত ভোরে কেন? তখন তিনি কোনো জবাব দেননি। এরপর তিনি (তাহমিনা) ভেতরে যান। এরপর আশপাশে খেয়াল করে ওই প্রতিবেশীর সন্দেহ হয়। পরে ওই প্রতিবেশী বের হয়ে তার বড় ভাইকে বিষয়টি জানান। তারা ওই বাড়ির গলিতে গিয়ে একটা বস্তার মধ্যে ওই শিশুকে দেখতে পান। এ সময় ওই শিশুর নাক, কান, মুখ রক্ত হতে দেখা যায় এবং গলায় টিপে ধরার চিহ্ন পাওয়া যায়। এসময় যখন সবাই বলা শুরু করে যে ওই নারীই এই শিশুকে মেরেছে, তখন সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে গোদারপাড় থেকে তাকে ধরে নিয়ে আসা হয়।’
ওসি এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে হয়েছে। অভিযুক্ত তহমিনাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, শিশুটিকে কোথায়, কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্তে ও জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments