Image description

জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‌‘দেশে যখন তারা (সরকার) রাজনৈতিক উত্তরণের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে, তখন অভ্যুত্থানকে কালিমালিপ্ত করার জন্য পতিত ফ্যাসিস্টরা আর তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা মাতম শুরু করেছে। সরকারের ভেতরেও ভূত থাকতে পারে। কারণ, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এখনো দোসররা বসে আছে। কারা এখনো ঘাপটি মেরে থেকে এই সরকারকে ব্যর্থ করতে চাইছে, তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে রংপুর নগরীর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এক গণসংলাপে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলন রংপুর জেলার উদ্যোগে ‘বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা’র লক্ষ্যে এই গণসংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া ও দীপক রায়, কৃষক-মজুর সংহতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীমসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ও সাস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন পীরগঞ্জের শহীদ সোহাগের বাবা ও মা। গণসংহতি আন্দোলনের জেলার ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মুফাখখারুল ইসলাম মুনের সঞ্চালনায় গণসংলাপে সভাপতিত্ব করেন রংপুর জেলা আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান।

জনগণ ক্ষমতার কেন্দ্র উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার জনগণ নির্বাচিত করেন। সরকারকে, জনপ্রতিনিধিকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এর জন্য সংবিধান ও আইন তৈরি করা দরকার। ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার করতে হবে। সাংবিধানিক পদে কেবল সরকার নিয়োগ দেবে না। সরকারি দল, বিরোধী দল ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধি নিয়োগ দেবে, যাতে যারা নিয়োগ পান, তাদের কোনো দলের প্রতি অনুগত থাকতে না হয়। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে হবে।’

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি