Image description

নারিকেল জিঞ্জিরা খ্যাত দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যাতায়াত ও অবস্থানের উপর সব ধরণের সরকারি বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একদল শিক্ষার্থী।

বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির’ ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্মদ মাশরুফ আহমদ বলেন, ‘সেন্টমার্টিন ভৌগলিক অবস্থানগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর জায়গা। ইতিমধ্যেই মিয়ানমার ও আরাকান আর্মি দ্বীপের মালিকানা দাবি করেছে। এছাড়া মিয়ানমারের সরকারি ম্যাপেও এই দ্বীপকে তাদের নিজেদের বলে দেখানো হয়েছে। এমনকি আরাকানের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিও নারিকেল জিঞ্জিরা দ্বীপের মালিকানা দাবি করেছে। এখন দ্বীপে যাতায়াত ও অবস্থানে বাঁধা আসলে ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকার একমাত্র উপায় পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তখন মানুষ দ্বীপ ত্যাগে বাধ্য হবে। ফলে পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারের মগ, আরাকান ও ভারতীয় জেলেদের নারিকেল দ্বীপে আনাগোনা বেড়ে যাবে। সুযোগ বুঝে তারা দ্বীপটি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালাবে।’

তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিন কেন্দ্রীক পর্যটন ক্ষতিগ্রস্থ হলে বাংলাদেশের জনগণ ভারতে চলে যাবে অবকাশ যাপন করতে। ফলে আমাদের দেশের পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় পর্যটন শিল্প প্রতিষ্ঠিত হবে। এছাড়া দ্বীপে পর্যটন বন্ধ হয়ে গেলে দ্বীপবাসী বাধ্য হয়ে কোরাল কেটে সেগুলো বিক্রী করা শুরু করবে। ফলে দ্বীপে পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি হবে। এমনকি দ্বীপে যাতায়াতের উপর বাধা নিষেধ দ্বীপবাসীর মৌলিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। তাই সরকারকে অবশ্যই দ্বীপবাসী ও বাংলাদেশের সকল নাগরিককে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ, অবস্থান ও চলাচলের অবাধ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্মদ মশিউর রহমান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল খবীর ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তামজীদ আহমেদ এবং স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও ঢাবি শিক্ষার্থী মুহম্মদ জিয়াউল হক প্রমুখ।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস