ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) রোভার স্কাউট গ্রুপের তিনটি দল ১৫০ কিমি পথ পায়ে হেঁটে পরিভ্রমণ করবে। তাদের মধ্যে দুইটি রোভার স্কাউট দল ও একটি গার্ল-ইন রোভার। এ কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রেসিডেন্ট'স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করবে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম ডিসি অফিস থেকে কক্সবাজার ডিসি অফিস পর্যন্ত ১৫০ কিমি পথ পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করবে একটি দল। এ দলে রয়েছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট দলের চার সদস্য আহসান উল্লাহ, সারতাজ সাহাদৎ, জয়নাল আবেদীন, এবং শাহজাহান সম্রাট। তারা ভ্রমনকালে চট্টগ্রাম ডিসি অফিস, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ, লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীট, ইদগাঁও উপজেলা পরিষদ হয়ে কক্সবাজার ডিসি অফিসে যাত্রা বিরতি ও রাত্রি যাপন করবেন।
একই তারিখে আরো দুটি দল নরসিংদী সদর থেকে মৌলভীবাজার সদর পর্যন্ত ভ্রমণ করবে। এ দুটি দলে রয়েছেন- লিজন পাল, মো. রাসেল ইসলাম, ও সাগর রায় এবং মোসাঃ ফাতেমাতুন জোহুরা, মোছাঃ আছিয়া আক্তার রেমিজা, মোছাঃ মুক্তা আক্তার, ও মোসাঃ আরফিনা আক্তার। তারা ভ্রমনকালে নরসিংদী সার্কিট হাউজ, ভৈরব উপজেলা পরিষদ, মাধবপুর উপজেলা পরিষদ, শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ হয়ে মৌলভীবাজার জেলা স্কাউট ভবনে যাত্রা বিরতি ও রাত্রি যাপন করবেন।
রোভাররা পরিভ্রমণের পাশাপাশি চলতি পথে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা যেমন প্লাস্টিক বর্জন করুন, পৃথিবীকে রক্ষা করুন; বায়ুদূষণ বন্ধ করি, প্রাণের পৃথিবী গড়ে তুলি; বাড়ির আঙ্গিনা রাখো পরিষ্কার, ডেঙ্গু রোধে হবে উপকার স্থানীয় জনগণের কাছে তুলে ধরবেন।
প্রসঙ্গত, রোভারিংয়ের সর্বোচ্চ সম্মান প্রেসিডেন্ট'স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জনের একটি ধাপ হলো "পরিভ্রমণকারী ব্যাজ"। এটি অর্জনের জন্য রোভারদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পায়ে হেঁটে ১৫০ কিমি, বা সাইকেলযোগে ৫০০ কিমি, অথবা নৌকাযোগে ২৫০ কিমি ভ্রমণ করতে হয়। তবে, এই পরিভ্রমণের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ব্যাজ অর্জন নয়, এটি রোভারদের শারীরিক সক্ষমতা, ধৈর্য, এবং একতার নিদর্শন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments