Image description

চলতি মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের প্রত্যাশা করে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতেই ধান-চাল সংগ্রহ হচ্ছে। যাতে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লেও খোলা বাজারে ওএমএস কর্মসূচি, ভিজিডিসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে সংগৃহীত এই ধান-চাল বাজারে সরবরাহ করে দাম স্থিতিশীল রাখা যায়।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলা এবং খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার জেলা প্রশাসক ও খাদ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে চলতি আমন সংগ্রহ ২০২৪-২০২৫ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি  ।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, চলমান আমন সংগ্রহ মৌসুমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান-চাল সরবরাহ করলে কৃষক-মিলারদের লোকসানের কোন সুযোগ নেই। কারণ উৎপাদন খরচের সাথে কিছু লাভ যুক্ত করেই সরকারি উচ্চ পর্যায় কমিটি এই মূল্য নির্ধারণ করেছে। যা আগামী মৌসুমে এই দাম আবারও সমন্বয় করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহী ও রংপুর জেলা খাদ্য শস্যের ভাণ্ডার। রংপুর ও রাজশাহী দেশের মধ্যে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে খাদ্য শস্য বেশি উৎপাদন হয়। এখান থেকে শস্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। এবারো এই বিভাগে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি শস্য সংগ্রহ হবে বলে খাদ্য কর্মকর্তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। চলতি মৌসুমে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২ হাজার ৭২৯ মেট্রিক টন, ধান ৫৩ হাজার ৩৫৯ মেট্রিকটন ও আতব চাল ১৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিকটন। এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে চাল ২৮ হাজার ৫৫ মেট্রিকটন ও ধান ২০৬ মেট্রিকটন। এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৩০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে ৮ জেলা থেকে।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের আয়োজনে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহম্মেদের সভাপতিত্বে এ সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল খালেক, রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাইন উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক ও বিভাগের সকল জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কুষ্টিয়া জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং রাজশাহী ও খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক উপস্থিত ছিলেন।

মানবকণ্ঠ/এসআর