রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় বিএনপির এক নেতার বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোছা. হোসনারা বেগম অভিযোগ করেন,শুক্রবার রাতে পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মো. আজিম ইসলামসহ ১০-১২ জন আমাদের বাড়ির গেটে এসে দরজা খুলতে বলে। আমি গেট খুলতে অস্বীকৃতি জানালে তারা জোর করে দরজায় আঘাত করতে থাকে। বাধ্য হয়ে দরজা খুললে তারা ঘরে ঢুকে আমাকে মারধর করে এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। তাঁদের হাতে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ছিল। তারা আমার স্বামীর নাম ধরে গালিগালাজ করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা বাড়ি থেকে নগদ এক লাখ টাকা এবং তিন ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. ইয়াহিয়া খান অভিযোগ করে বলেন, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আজিম আমার বড় ভাই আইয়ুব আলী খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে গিয়েছিল। বাড়িতে তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। আমরা দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবি
জানাচ্ছি।
প্রতিবেশী মর্জিনা বেগম জানান,রাতে কান্নাকাটির শব্দ এবং ভাঙচুরের আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙে যায়। বাইরে এসে দেখি অস্ত্রধারী কয়েকজন দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মো. আজিম ইসলাম মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। কেন আমার নামে এমন মিথ্যা ও বানোয়াট গুজব ছড়িয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা আমি বুঝতে পারছি না। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
অভিযোগটা অন্য কারও বিরুদ্ধে না করে আপনার বিরুদ্ধেই কেন আনা হলো—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জানি না কেন আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আসামিদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments