Image description

কর্মই ফল। এ যেন ধ্রুব সত্য। এর ব্যত্যয় নেই। এ যেন নির্ধারিত। সবার জন্যই প্রযোজ্য। কি ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সমাজ, দেশ কিংবা রাষ্ট্র। ভগবদ্গীতার দ্বিতীয় অধ্যায় ৪৬ নম্বর মন্ত্রে এই সত্যটিই উচ্চারিত হয়েছে। যার সারাংশ হলো- “আপনার নির্ধারিত দায়িত্ব পালনের অধিকার আপনার আছে, কিন্তু আপনি আপনার কর্মের ফল পাওয়ার অধিকারী নন। নিজেকে কখনই আপনার ক্রিয়াকলাপের ফলাফলের কারণ হিসাবে বিবেচনা করবেন না বা নিষ্ক্রিয়তার সাথে সংযুক্ত হবেন না”।

ভারতীয় দর্শন মূলত: কর্ম তত্ত্বের মৌলিক বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। প্রতিটি কর্মেরই একটি ভবিষ্যৎ ফলাফল থাকবে যা ভালো বা খারাপ হতে পারে এবং আনন্দ বা দুঃখের কারণও হতে পারে। মানুষ যদি তাদের জীবদ্দশায় খারাপ কাজ করে তবে এর ফলাফল নেতিবাচক হবে, দুঃখের কারণ হবে। আর যদি ভালো কাজ করে থাকে তা হলে ফলটিও সুখদায়ক হবে, মঙ্গলজনক হবে, হবে নান্দনিক। এই কর্মের ফলই যেন নির্ধারিত হয়ে ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে গণতান্ত্রিক ভূখণ্ড ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে, যার ভিত্তি ছিল স্বাধীনতা, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, মানবাধিকার, বৈষম্যহীন সামাজিক ব্যবস্থা, সমন্বয় এবং অভিন্ন মূল্যবোধের মাধ্যমে একটি সুন্দর, সংহত ও শক্তিশালী মহাদেশ গড়ে তোলা। 

প্রথম থেকেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল এর সদস্য দেশগুলো অর্থনৈতিক অগ্রগতি, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, এবং নিরাপত্তার মানদণ্ডে একত্রিত হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিশাল ধ্বংসযজ্ঞের পরপরই ইউরোপে এই সংহতির স্বপ্ন দেখা শুরু করে। এ স্বপ্ন ছিল একটি শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল, এবং আত্মনির্ভরশীল ইউরোপ নির্মাণের। কিন্তু সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা এবং বিশেষত ইউক্রেন সংকট ইইউকে এক গভীর সংকটে ফেলে দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরশীলতা এবং রাশিয়ার সঙ্গে দা-কুমড়ো দ্বন্দ্বের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাধীনতা ও প্রভাব হ্রাস পাচ্ছে দিন দিন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের টিকে থাকতে হলে হয় তাকে তার প্রভাব বলয়কে পুনরুদ্ধার করে একটি স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে, নয়তো ঐক্যের ভিত্তি ভেঙে পড়ে আরও বেক্সিট - শৈলীর বিচ্ছিন্নতা এবং ইউরোপীয় প্রকল্পের পতনের মুখে দাঁড়াতে হবে। 

গত চার শতাব্দী ধরে বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইউরোপে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংহতির এক ধরনের ধারা প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করে। মধ্যযুগ এবং রেনেসাঁর সময়কালে ধর্মীয় একতা এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ইউরোপীয় সংহতির ধারণার শুরুর দিকের কিছু রূপ তৈরি করেছিল। ১৬৪৮ সালের ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে ওঠে, যেখানে আধুনিক জাতিরাষ্ট্রগুলোর মূল কাঠামো প্রতিষ্ঠা হয় এবং সার্বভৌমত্ব ও পরস্পর সহাবস্থানের ভিত্তিতে ইউরোপে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টা করা হয়। তবে ১৮০০ শতকে নেপোলিয়নের নেতৃত্বে ফরাসি সাম্রাজ্যের অধীনে ইউরোপকে একত্রিত করার প্রচেষ্টা রাজনৈতিক এবং সামরিকভাবে শক্তিশালী হলেও তা একধরনের সহিংস সাম্রাজ্যবাদী ধারণা বহন করে, যা ধীরে ধীরে ব্যর্থতার মুখে পড়ে। ১৯শ শতকে শিল্প বিপ্লব ইউরোপে অর্থনৈতিক পরিবর্তন নিয়ে আসার পাশাপাশি জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটায়। 

এই সময়, একদিকে কিছু দেশ তাদের জাতীয় পরিচয়ে গর্বিত হয়ে উঠতে শুরু করে, অন্যদিকে মহাদেশীয় ইউরোপের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার ধারণা আরও ব্যাপকভাবে বিকাশ লাভ করে। কিন্তু উনিশ শতকের শেষ দিকে এবং বিশ শতকের প্রথম দিকে বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মহাদেশজুড়ে ব্যাপক সংঘর্ষ ও বিপর্যয় ঘটে, যা ইউরোপকে টুকরো টুকরো করে দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ইউরোপের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল ভীষণভাবে বিপর্যস্ত। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, ইউরোপে পুনরায় একটি সমন্বিত মহাদেশীয় সংহতি প্রতিষ্ঠার ধারণা নতুন রূপে ফিরে আসে। তখনকার নেতারা উপলব্ধি করেন যে ইউরোপের টেকসই উন্নতি ও স্থায়ী শান্তি আনতে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অভ্যন্তরীণ ঐক্য জরুরি। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে শুরু হওয়া মার্শাল প্ল্যানের অর্থনৈতিক সহায়তা এবং পরে গঠিত ন্যাটো জোটের সামরিক সহযোগিতার মাধ্যমে পশ্চিম ইউরোপে একটি শক্তিশালী ও সংহত ইউরোপীয় মহাদেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা গতি পায়। এরপর ১৯৫১ সালে ইউরোপীয় কয়লা ও ইস্পাত সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পরে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কমিউনিটি এবং পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রূপান্তরিত হয়। এর মাধ্যমে ইউরোপীয় নেতারা একটি অভিন্ন বাজার, অভিন্ন মুদ্রা, এবং অভিন্ন রাজনৈতিক নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সহযোগিতার বৃত্ত প্রসারিত করেন। এই অভিন্নতা এবং সংহতির ধারণা প্রাথমিকভাবে ছিল যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। ইউরোপের নেতারা ধারণা করেছিলেন যে, একটি অর্থনৈতিকভাবে সংযুক্ত ও নৈতিকভাবে সংহত ইউরোপ দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীল থাকবে এবং বিশ্বে তার ভূমিকা আরও শক্তিশালী হবে। এই উদ্দেশ্যে একদিকে অভিন্ন বাজার ও অভিন্ন মুদ্রা চালু করা হয়, অপরদিকে মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন নীতি গড়ে তোলা হয়।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয় প্রকল্পটি এমন একটি পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে যেখানে অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও সহযোগিতা হুমকির মুখে পড়েছে। ইউরোপীয় সংহতির এই ঐতিহাসিক ধারার আলোকে বর্তমান সংকটকে খুব সহজেই অনুধাবন করা সম্ভব। কারণ ইউরোপে শক্তিশালী হয়ে ওঠা অভ্যন্তরীণ বিভাজন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা এবং রাশিয়ার সাথে বৈরিতার বিষয়গুলো ইউরোপীয় প্রকল্পের মূল লক্ষ্যকে দুর্বল করে তুলছে দিন দিন। যার পরিণতি খুব ভয়াবহ। অথচ এই পরিণতির ব্যাপারটা যেন সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবাপন্ন পশ্চিমা তথাকথিত নির্বোধ নেতাদের মস্তিষ্কে ধরা দিচ্ছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই এটি শুধু অর্থনৈতিক মেলবন্ধনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং একটি নৈতিক এবং মানবিক আদর্শের সামাজিক ব্যবস্থা তৈরি করতে চেয়েছিল। যার ফলে ইইউ একটি প্রগতিশীল মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, যেখানে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা এবং সমতার মতো মূল্যবোধগুলো প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। 

এই নীতিমালাগুলো কার্যকর করার উদ্দেশ্য ছিল একটি সমন্বিত ও উন্নত সমাজ গড়ে তোলা, যেখানে সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ, সুরক্ষা এবং মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অভিন্ন মানদণ্ড প্রণয়ন করে ইইউ তার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এক ধরনের সংহতি এবং আস্থার সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই আদর্শ এবং নৈতিক ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে উঠে। ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ইইউ যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা রাশিয়ার সাথে একটি নতুন ধরনের স্নায়ুযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়াকে শত্রু হিসেবে গণ্য করে কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

অন্যদিকে রাশিয়াকে পাত্তা ন দিয়ে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। গত তিন বছরের অস্থিতিশীলতা ইউরোপের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের আমদানি বন্ধ হওয়ায় ইউরোপীয় অর্থনীতি বিশেষত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জ্বালানি খাতের এই সংকট সাধারণ জনগণের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি করেছে এবং শিল্পখাতেও উৎপাদনশীলতা কমেছে, কারণ বহু শিল্পক্ষেত্র সরাসরি রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত গ্যাস ও অন্যান্য কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এই আর্থিক ও সামাজিক সংকট ইইউর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি বিভাজন তৈরি করেছে। ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের পক্ষে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ার মাধ্যমে নৈতিক অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এর ফলশ্রুতিতে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যেখানে ইইউ তাদের স্বতন্ত্র নীতি বজায় রাখতে গিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে, বিশেষ করে জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে একধরনের নৈতিক দ্বিধার মধ্যে ফেলেছে: একদিকে তারা স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের পক্ষপাতী, কিন্তু অন্যদিকে তাদের প্রতিরক্ষা এবং অর্থনীতির ভিত্তি টিকিয়ে রাখতে আমেরিকার সঙ্গে গভীর জোটবদ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই।

ফলস্বরূপ, এই পরিস্থিতিতে ইইউ তাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি এবং ঐক্য বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। অনেক দেশই নিজেদেও স্বার্থ ও রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে ইইউর অভিন্ন নীতির সঙ্গে পুরোপুরি একমত হতে পারছে না। এই বিভাজনের ফলে ইইউ এখন এমন একটি বাস্তবতায় দাঁড়িয়েছে, যেখানে তাদের মূল আদর্শ ও শক্তি কমে আসছে। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার সাথে বিরোধ ইইউর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর যেমন আঘাত হেনেছে, তেমনই এটি ইউরোপীয় প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে: আদৌ কি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভবিষ্যতে তার মূল আদর্শ ও স্বকীয়তা বজায় রেখে শক্তিশালী ও স্বাধীনভাবে টিকে থাকতে পারবে, নাকি ক্রমশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-বলয়ের অংশ হয়ে উঠবে? রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ফলে ইউরোপের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা ইউরোপীয় দেশগুলোকে বাধ্য করেছে আমেরিকার ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল হতে। বিশেষ করে, জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাতে এই নির্ভরশীলতা গভীর হয়েছে। এক সময় স্বাধীনতার মশাল বহনকারী ইউরোপ এখন ক্রমশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাব বলয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ছে, যা অনেকের কাছে ইউরোপকে এক ধরনের আধিপত্যবাদী নৈতিকভাবে নির্ভরশীল অঞ্চলের মত মনে হতে পারে। 

এমন অবস্থায়, ইউরোপের সামনে দুটি বিকল্প পথ রয়েছে। একদিকে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয়ে থেকে নিজেদেও একটি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্থায়ী করতে পারে, অথবা তারা রাশিয়ার সাথে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে নিজেদের একটি স্বাধীন মহাদেশ হিসেবে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। ভবিষ্যতের ইউরোপকে স্বাধীন ও শক্তিশালী একটি ভূখণ্ড হিসেবে টিকে থাকতে হলে, ইউরোপীয় নেতাদের অবশ্যই তাদের পররাষ্ট্র নীতিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে এবং রাশিয়ার সাথে সহাবস্থানের পথে একটি কার্যকরী সমাধান খুঁজে পেতে হবে। অন্যথায়, তারা ক্রমাগত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে নিজেদের শক্তি ও স্বাধীনতা হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে। এটি শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্যই নয় বরং সমগ্র বিশ্ব রাজনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। ইউরোপ যদি তার অভ্যন্তরীণ ঐক্য পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং একটি স্বাধীন, শক্তিশালী এবং প্রগতিশীল পরিচয় তৈরি করতে পারে, তবে তা কেবল ইউরোপ নয়, বরং গোটা বিশ্বে স্থিতিশীলতা ও শান্তির জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে।

লেখক: শিক্ষক, গবেষক ও কলামিস্ট