আফগানিস্তানের ভেতরে নিষিদ্ধ ঘোষিত পাকিস্তানি তালেবানের (টিটিপি) একাধিক সন্দেহজনক আস্তানায় বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। বুধবার এই হামলা হয়েছে বলে দেশটির চারজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন। খবর আরব নিউজের।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই হামলাগুলো পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় চালানো হয়। তবে এই কর্মকর্তাদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। কারণ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি তাদের নেই। তবে পাকিস্তানি বিমানগুলো আফগানিস্তানের কতটা ভেতরে ঢুকেছিল এবং হামলাগুলো কিভাবে পরিচালিত হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কোনো মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি। তবে গত মার্চ মাসের পর এটি দ্বিতীয় হামলা। তখন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আফগানিস্তানের সীমান্ত এলাকায় হামলা চালানোর দাবি করেছিল পাকিস্তান।

কাবুলে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পাকিস্তানের এই বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দাবি, বোমা হামলায় নারী ও শিশুসহ বেসামরিক মানুষদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। অধিকাংশ হতাহতই ছিল পাকিস্তানের সংঘাতপ্রবণ ওয়াজিরিস্তান এলাকা থেকে আসা শরণার্থী।

তালেবান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আফগানিস্তান এই বর্বর কর্মকাণ্ডকে সব আন্তর্জাতিক নীতিমালার বিরুদ্ধে এবং খোলামেলাভাবে আক্রমণাত্মক বলে মনে করে এবং এটিকে কঠোরভাবে নিন্দা জানায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিমান হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খোয়ারিজমি জানান, বোমা হামলায় বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন শিশু ও অন্যান্য বেসামরিক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট করে কোনো সংখ্যা বলেননি তিনি।

এক্স প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, পাকিস্তানকে বোঝা উচিত যে এ ধরনের একতরফা পদক্ষেপ কোনো সমস্যার সমাধান নয়। আফগানিস্তান এই কাপুরুষোচিত হামলার জবাব দেবে এবং নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষাকে তাদের অক্ষুণ্ণ অধিকার বলে মনে করে।

ইসলামাবাদ প্রায়ই দাবি করে যে পাকিস্তানি তালেবান আফগান ভূমি ব্যবহার করে পাকিস্তানে হামলা চালায়। যদিও তা কাবুল অস্বীকার করেছে। সাম্প্রতিক মাসে সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর মারাত্মক হামলা চালিয়েছে টিটিপি।

মানবকণ্ঠ/আরআই