বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করেছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না এই কথা। তাই স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমকে সংগঠন হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বা স্বীকৃতি প্রদান সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ব্যক্তিগত সফরে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এই কথা জানান নতুন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের সাথে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের যে একটি বিশাল ভূমিকা রয়েছে এটি এই প্রজন্মের অনেকেই জানেন না। তাই আমরা চেষ্টা করছি স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমকে সংগঠন হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বা স্বীকৃতি প্রদান করার জন্য।
এ ছাড়াও ১৬ বছরে ফুটবল ছাড়াও দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তাবিথ আউয়াল। তার ভাষ্য, বর্তমানে আমরা দেখতে পাই শুধু ফুটবল নয় অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে অনেক পিছিয়ে গিয়েছে। বিগত ১৬ বছর বাংলাদেশের একটি কালো অধ্যায়ের মধ্যে ছিল আর সেখান থেকেও বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম দেশকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফুটবল দলেও তরুণদের ছোঁয়া লেগেছে এবং ইনশাআল্লাহ তাদের হাত ধরে আমাদের আগামীদিনের যাত্রা অনেক উন্নতির দিকে যাবে।
নানা নাটকীয়তার পর বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামার অনুমতি পেয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা চৌধুরী। এ বিষয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন বিদেশি ফুটবল লিগ দেখার জন্য বর্তমান তরুণরা উন্মুখ হয়ে থাকে। হামজা চৌধুরী যিনি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সেও বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে খেলবে তার দেখাদেখি অনেক বাংলাদেশী তরুণেরা ফুটবলের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং এই অর্জনের মাধ্যমে আমি মনে করি ভবিষ্যতে আমরা ফুটবলে অনেক ভালো করব।
তিনি আরও বলেন, আমরা আগামীতে দেখতে চাই একজন বা দুইজন নয় প্রতিবছরই যেন জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে ছেলে এবং মেয়ে উভয় দলের জন্যই ফুটবল প্লেয়ার উঠে আসে। সে লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। এবং এই বছরই আমরা যে এশিয়া কাপ কোয়ালিফাইং খেলছি সেখানে আমাদের ছেলে এবং মেয়ে উভয় টিমই কোয়ালিফাই করবে। আমাদের নারীরা সীমিত রিসোর্স নিয়ে আমাদের ফুটবলের জন্য যে অর্জন এনে দিয়েছে সেটি সত্যিই অভাবনীয়।
নারী ফুটবল নিয়ে তাবিথ আউয়াল বলেন, আমাদের নারী ফুটবল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে যেটি আমাদের দেশের জন্য অনেক সুনামের। সে জায়গা থেকে আমাদের কমিটমেন্ট থাকবে এবং তারাও ডিজার্ভ করে আরও ভাল রিসোর্স। আমরা নারী খেলোয়াড়দের ডিগিনিটিও এক লাখ টাকা রাখতে চাই পাশাপাশি নারী এবং পুরুষ উভয় খেলোয়াড়ই যারা দেশের জন্য অর্জন বয়ে আনবে তাদেরকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করব।
মানবকণ্ঠ/এসআরএস
Comments