স্কুলে ৯ম-১০ম শ্রেণিতে থাকতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান একবার ‘নিখোঁজ’ হয়েছিল। তার ‘জিনের আছর’ ছিল। তবে তখন সে বিষয়ে খালেদকে অবহিত করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে তার বাবা এমন মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে খালেদ ও তার পিতা লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
খালেদ হাসানের পিতা প্রথমে খালেদের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, চিকিৎসক তাকে কয়েকটা শারীরিক ও মানসিক টেস্ট দিয়েছেন তবে তার বর্তমান শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভালো।
লুৎফর রহমান বলেন, খালেদের ছোট থেকে জিনের আছর ছিল। ৯ম বা ১০ম শ্রেণিতে থাকাকালীন সে একবার এরকম নিখোঁজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে কয়েকদিন পরে তাকে পাওয়া যায়। কিন্তু এই বিষয়টি আমরা খালেদকে জানাই নাই।
ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আত্মগোপনে থাকার অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে খালেদ বলেন, ডাকসু নিয়ে এখনও আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি দাঁড়াবো কি না সেটি এখনও ঠিক করিনি। তবে যদি দাঁড়াই তার জন্য আমাকে এধরণের পথ বেছে নিতে হবে এমনটি আমার মনে হয় না। তবে ডাকসু নিয়ে আমার এখনও কোনো প্ল্যান নেই।
খালেদ এখন এই সমস্যার জন্য নিজের মানসিক অবস্থাকেই দায়ী করছেন। প্রথমে এই অবস্থার জন্য তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করলেও এখন তিনি ভাবছেন তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা যেটা সে জানতো না তার জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ হাসান নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় নিজ হলে ফিরে আসেন। এরপর দু’দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে তার নিখোঁজ হওয়া এবং ফিরে আসার তথ্যে শিক্ষার্থীদের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, খালেদ গুম হয়েছিলেন নাকি নিজেই আত্মগোপনে ছিলেন। এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রচারের জন্য আত্মগোপনে ছিলেন খালেদ। এসব প্রশ্নের জবাব দিতে বাবাসহ সংবাদ সম্মেলনে আসেন এই সহ-সমন্বয়ক।
মানবকণ্ঠ/আরএইচটি
Comments