Image description

নিত্যনতুন সব আইডিয়া ও অভিনব কাজের জন্য পরিচিত ইলন মাস্ক। এবার তিনি নিজের নাম-ই পাল্টে ফেললেন। এখন থেকে তিনি আর ইলন মাস্ক নন, এক্স প্ল্যাটফর্মে তাঁর নতুন নাম ‘কেকিয়াস ম্যাক্সিমাস’! শুধু তাই নয় প্রোফাইল পিকচারে নিজের ছবির পরিবর্তে তিনি ব্যবহার করেছেন জনপ্রিয় মিম ‘পেপে দ্য ফ্রগ’ এর একটি ছবি। আজ মাস্কের এক্স অ্যাকাউন্টের নাম ও প্রোফাইল পিকচারে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।  

অবশ্য মাস্কের প্রোফাইল পিকচারে ‘পেপে দ্য ফ্রগ’ নামের ব্যাঙটিকে দেখা যাচ্ছে যোদ্ধার সাজে সজ্জিত এবং এর হাতে আছে ভিডিও গেমসের একটি জয়স্টিক!  

উল্লেখ্য, কোনো ডিজিটাল কনটেন্ট যেমন ছবি, ভিডিও বা লেখাকে (টেক্সট) হাস্যরসাত্মক বা ব্যাঙ্গাতকভাবে উপস্থাপন করে বিনোদনের উদ্দেশ্যে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলেই সেটা হয়ে উঠে ‘মিম’। সাধারণত ‘মিম’ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই ‘ভাইরাল’ হয় বা ছড়িয়ে পড়ে। 

নেটিজেনদের মাঝে জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি মিম-এর নামে বাজারে এখন ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে। এই ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলোকে ‘মিমকয়েন’ নামে পরিচিত। তেমনই একটি জনপ্রিয় মিমকয়েন হচ্ছে ‘কেকিয়াস ম্যাক্সিমাস’। 

ইলন মাস্ক তাঁর এক্স প্রোফাইলের নাম পরিবর্তন করে ‘কেকিয়াস ম্যাক্সিমাস’ এবং ছবিতে ‘পেপে দ্য ফ্রগ’ ব্যবহার করার পর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ‘কেকিয়াস ম্যাক্সিমাস’ মিমকয়েনটির দাম ৫০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটপ্লেস কয়েনগেকো।

তবে হঠাৎ করে তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টের নাম ও প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে ইলন মাস্ক এখন পর্যন্ত কিছুই জানাননি। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে অনেকেই ধারণা করছেন, ‘কেকিয়াস ম্যাক্সিমাস’ মিমকয়েনটির সাথে মাস্কের কোনো না কোনো যোগাযোগ থাকলেও থাকতে পারে।

ক্রিপ্টোকারেন্সির পক্ষে ইলন মাস্কের জোরালো অবস্থান অবশ্য নতুন কিছু নয়। এ বছর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ক্রিপ্টোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তিনি এবং ক্রিপ্টো নিয়ে বিভিন্ন আশাবাদও ব্যক্ত করেছেন। 

উল্লেখ্য, বছর দু’য়েক আগে ইলন মাস্ক তৎকালীন সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে (বর্তমানের এক্স) অনেকগুলো পোস্ট করে ডোগকয়েন নামের একটি মিমকয়েনকে ক্রিপ্টোকারেন্সি’র বাজারে বেশ জনপ্রিয় করে তোলেন। তাই নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন জাগছে, কেকিয়াস ম্যাক্সিমাস এর জন্যেও কি ইলন মাস্ক ঠিক তাই করতে যাচ্ছেন যেটা ডোগকয়েনের জন্য করেছেন।

তথ্যসূত্র: এক্স, ইন্ডিয়া টুডে, লাস্টলি

মানবকণ্ঠ/এসআরএস