জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪২ জনকে নিজেদের নেতাকর্মী দাবি করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সম্প্রতি সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত তালিকায় ৫৪ নম্বরে গুলশান কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থী মো. রায়হানের তথ্য রয়েছে। সেখানে ‘ছাত্র’ এবং পারিবারিকভাবে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে এই শিক্ষার্থীর।
তবে মো. রায়হানকে ছাত্রদলের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। জানা যায়, মো. রায়হান গুলশান কমার্স কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় পুলিশের গুলিতে মারা যান।
মো. রায়হানের চাচা মোফাজল হোসেন রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভাতিজা কখনোই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল না।
সে ছাত্রশিবির করত এবং সে ছাত্রশিবিরের সাথি প্রার্থী ছিল। এ ছাড়া শহীদের তালিকায় নাম প্রকাশের আগে আমাদের সাথে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।
রায়হানের বাবা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে কখনোই ছাত্রদলের রাজনীতি করেনি। সে ঢাকায় ছাত্রশিবিরের মেসে থাকত। সে ছাত্রশিবির করত। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে তালিকায় নাম প্রকাশ নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি।’
এ বিষয়ে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্রদলের শহীদদের তালিকার ৫৪তম শহীদ রায়হান বাড্ডা দক্ষিণ থানা ছাত্রশিবিরের সাথি প্রার্থী। বৈঠাখালী উপশাখা সভাপতি ছিল রায়হান।’
Comments