Image description

মানিকগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর নির্বিচারে হামলার ঘটনায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনকে প্রধান আসামি করে আরও একটি মামলা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামসহ ৬৮ জনের নাম মামলায় উল্লেখ আছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমানুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরি ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কিরণ মিয়া মানিকগঞ্জ সদর থানায় এ মামলা করেন। ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় এটা চতুর্থ মামলা। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক দফার আন্দোলনকে চূড়ান্তরূপ নেওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্লোগানে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে। সারাদেশের সঙ্গে ওইদিন মানিকগঞ্জেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি পালন করছিল। ওই সময় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়া আগ্নেয়াস্ত্রসহ হাতে থাকা বিভিন্ন স্থানে প্রকার অস্ত্র প্রকাশ্যে উঁচিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর একযোগে হামলা চালায়। এই ঘটনায় মমতাজ চক্ষু হাসপাতালের সামনে ২০০ জন ছাত্র জনতা আহত হন ও পিটি আই গেটের সামনে আরো ১০০-১৫০ জন ছাত্র-জনতা আহত হয়।

মামলার উল্লেখযোগ্য আরো আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক তুষার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান জনি, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীউর রহমান কম্পন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অভিজিত সরকার, দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক মিম, সদর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হোসেন, গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন সরকার, ঘিওর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম টুটুল, জেলা মহিলালীগ নেত্রী মায়া খানসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ মামলায় আরো তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ জনকে অজ্ঞতা অসমী করা হয়েছে। 

মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমানুল্লাহ।

মানবকণ্ঠ/এসআর