Image description

দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পরিত্যক্ত সোনার খনিতে আটকা পড়া অন্তত ১০০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। খনি শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংস্থা মাইনিং অ্যাফেক্টেড কমিউনিটিস ইউনাইটেড ইন অ্যাকশন (ম্যাকুয়া) এ তথ্য জানিয়েছে।

তারা ওই খনিতে অবৈধভাবে খনন কাজ চালাচ্ছিলেন। কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের খাদ্য, পানি ও অন্যান্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে তাদের জোর করে বের করার উদ্যোগ নেয়, এতে দীর্ঘ অচলাবস্থা শুরু হয়।

ম্যাকুয়া গোষ্ঠীর মুখপাত্র সাবেলো মনগুনি জানান, শুক্রবার উদ্ধার পাওয়া কিছু শ্রমিকের সঙ্গে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে,, তাতে একটি ভিডিওতে খনির ভেতরে প্লাস্টিকে মুড়ে রাখা বহু মৃতদেহ দেখা গেছে।

মনগুনি জানান, উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর স্টিলফন্টাইনের ওই খনিতে ‘কমপক্ষে’ ১০০ জন মারা গেছেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, অনাহারে অথবা পানিশূন্যতায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।

স্কাই নিউজ লিখেছে, শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত ১৮টি লাশ বের করে আনা হলেও মাটির নিচে আরও কয়েকশ মানুষ রয়ে গেছেন।

পুলিশের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার সাবাতা মুখওয়াবইনা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে নতুন করে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কতোগুলো মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং কতোজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দু’টি ভিডিওতে বহু মৃতদেহ দেখা গেছে, এগুলোর অনেকগুলো প্ল্যাস্টিকের শিট দিয়ে মুড়ে রাখা হয়েছে আর দুর্বল, শার্টবিহীন শ্রমিকরা সাহায্যের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন।

এর আগে, নভেম্বরে কর্তৃপক্ষ প্রথম খনি শ্রমিকদের জোর করে বের করে খনিটি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন থেকেই পুলিশ ও শ্রমিকদের মধ্যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে শ্রমিকরা বের হয়ে আসতে চায়নি। কিন্তু মনগুনি জানান, পুলিশ খনি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য শ্রমিকদের ব্যবহৃত দড়িগুলি সরিয়ে ফেলার পরে তারা খনির ভূগর্ভে আটকা পড়েন।

সোনার খোঁজে পরিত্যক্ত খনিতে অবৈধভাবে প্রবেশের জন্য খনি শ্রমিকদের জোর করে বের করে আনার চেষ্টায় পুলিশ তাদের খাদ্য সরবরাহও বন্ধ করে দেয়।

দক্ষিণ আফ্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অবৈধ খনিজ উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে এ খনিটিতে যায় পুলিশ। এর লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে খনি শ্রমিকদের নিয়োগকারী সিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালিত কার্যক্রম বন্ধ করা।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস