Image description

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতির ছবি পাঠ্যবইয়ে রাখা নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা বীরের ভূমিকা পালন করেছেন তাদেরকে পেটানো হয়েছে। তার মানে হলো, ফ্যাসিবাদ এখনও জীবন্ত রয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

সলিমুল্লাহ খান বলেন, ফ্যাসিবাদের একটি দিক হচ্ছে, অতীতের ঐতিহাসিক ঘটনাবলি নিজের মধ্যে আত্মস্থ করে নেওয়া। যেমন টিভির নাম হয়েছে একাত্তর বা একুশে-এগুলো হলো আত্মসাৎকরণ। এগুলো ফ্যাসিবাদের লক্ষণ। আপনারা বলতে পারেন, এগুলো তো জাতীয় প্রতীক। নাম দেওয়া সমস্যা না; কিন্তু নাম দিয়ে যা করে, তা তো ভয়াবহ।

সাংবাদিকতা শুধু জনমত তৈরি করে না উল্লেখ করে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, এটি রাজনৈতিক মতো তৈরি করে, থিউরিও তৈরি করে, ক্ষমতাও তৈরি করে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিগত সময়ে এক ধরনের ‘শিকারি সাংবাদিকতা’র উদ্ভব ঘটেছে। যার মাধ্যমে মুহূর্তেই কাউকে অপরাধী বানিয়ে শাস্তি দেওয়া যেত।

প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলম।