Image description

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় বাড়ৈইখালীর শিবরামপুর গ্রামে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সেলিম খানের পৈতৃক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লুট করা বিভিন্ন সামগ্রী ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– মো. রুবেল হোসেন (৩৭), মো. সালাউদ্দিন চৌকিদার (৩৭), মো. সজীব মিয়া (২৫), মো. ফয়সাল (২৭), মিলন (৩৮), মো. ওবায়দুল হক সুমন (২৭) ও উজ্জ্বল দাস (৪৮)। গত ৪ জানুয়ারি শিবরামপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় ৬ জানুয়ারি অতিরিক্ত সচিব সেলিম খানের বোন রওশন আরা বাদী হয়ে মামলা করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ৪ জানুয়ারি রাতে শিবরামপুর গ্রামে অতিরিক্ত সচিবের পৈতৃক বাড়ির দরজা ভেঙে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন প্রবেশ করে। তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে রওশন আরার দুই হাতসহ মুখ বেঁধে এবং তাঁর মেয়েকে অস্ত্রের ভয় দেখায়। পরে স্টিলের আলমারির চাবি নিয়ে লকার খুলে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং টাকা লুট করে।

পরে অতিরিক্ত সচিবের চাচাতো ভাই রেজানুর রহমান রতনের বাড়িতে প্রবেশ করে তাদেরও জিম্মি করে খুন-জখমের ভয় দেখায়। একপর্যায়ে স্টিলের আলমারির লকার ভেঙে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুট করে।

পুলিশ সুপারের ভাষ্য, ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর অভিযান চালিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চালায়। পরবর্তী সময়ে শ্রীনগর থানা ও মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশের একাধিক দল অভিযানে নামে। তারা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে।

একপর্যায়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুটের সামগ্রীসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

মানবকণ্ঠ/আরআই