অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঠিকাদার জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩০ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রায় ঘোষণার নতুন এ দিন নির্ধারণ করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, মামলাটি আজ রায়ের জন্য ছিল। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে পুনরায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। তারা সংক্ষিপ্ত যুক্তিতর্ক তুলে ধরেছেন। আমরাও রিপ্লাই দিয়েছি। আগামী ৩০ জানুয়ারি পুনরায় রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে, ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি আট লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন। ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। যার মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জি কে শামীম ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
এছাড়া, জি কে শামীমের বাসা থেকে জব্দ করা নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ছাড়াও সাত লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
অনুসন্ধানে শামীমের মায়েরও বৈধ আয়ের কোনো উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ মোট ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করে দুদক।
মানবকণ্ঠ/আরএইচটি
Comments