Image description

জুলাইয়ের চেতনায় নতুনরূপে এবারের বইমেলা আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৫’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একুশ আমাদের মূল সত্তার পরিচয়, একুশে মানে জেগে ওঠা, একুশ আমাদের দৃঢ় বন্ধন। একুশের টান প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিস্তৃত হয়েছে। যার উদাহরণ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, তরুণ লেখকদের জন্য বই পড়া এবং গবেষণার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তবে বাংলা একাডেমিকে সর্বাত্মক গবেষণার দিকে নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি পুরস্কারের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোনো যোগাযোগ থাকে না। বাংলা একাডেমি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দেখা গেলো, স্বায়ত্তশাসনের সুযোগের অপব্যবহারে ফ্যাসিবাদের দোসররা ওখানে ঢুকে গেছে। পরে বাংলা একাডেমির পুরস্কার কমিটির সভায় পুরস্কার স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়। এই পুরস্কার কে পাবে না পাবে এর মধ্যে আমার রুচির কোনো ছাপ নেই, কোনো প্রভাব নেই।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সেটা যদি আমাকে গালাগালি করেও হয়, এতে কিছু যায় আসে না। আর বই প্রকাশ সেন্সর করব, এটা হাস্যকর। এই ভুল-বোঝাবুঝি এখানেই দূর করতে চাই। অন্তর্বর্তী সরকারের বই সেন্সরের পরিকল্পনা নেই।

পাঠ্যপুস্তক সেন্সর করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই দাবি করে ফারুকী আরও বলেন, বই ছাপানোর আগে সরকার পড়ে দেখবে এমন কোনো বক্তব্য কেউ দেয়নি। এই সরকার মতপ্রকাশের অধিকারে বিশ্বাস করে। অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস