পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে সাম্প্রতিক সময়ে চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসী প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো এবং চুরি ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
তবে পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, তারা চোর চক্রকে শনাক্ত করতে এবং চুরি ঠেকাতে বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারা নিয়মিত এলাকায় টহল দিচ্ছে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ওপর নজর রাখছে।
জানা যায়, গত এক মাসে উপজেলার একাধিক গ্রামে বাড়ির সিঁদ কেটে চুরি ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অন্তত চ ১০-১২ টি ঘর এবং সবশেষ গতকাল রাত্রে উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের কৃষক জয়নাল মুসুল্লির পাঁচটি গরু চুরি হয়েছে।
সংঘটিত এসব চুরির ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বেশির ভাগ বসতবাড়ির সিঁদ কেটে অথবা তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে চোর চক্র। এরপর ঘর থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ গরু এমনকি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাও চুরি করে নিয়ে যায় চক্রটি।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, মধ্যরাত থেকে শেষরাতের সময়টাতে চোরেরা কোনো ঘরের টিন কেটে, কোনো ঘরে সিঁদ কেটে আবার কোনো ঘরের তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে নানা কৌশলে মূল্যবান মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতমাসে উপজেলার মানসুরাবাদ গ্রামের প্রবাসী নাসির জোমাদ্দার ও একই গ্রামের সুলতান কেরানির ও মির্জাগঞ্জ গ্রামের সার্ভেয়ার মদন বাবুর বসতঘরে দিনে চুরি হয়েছে। প্রত্যেকের ঘর থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে চোরেরা। এছাড়াও ১ সপ্তাহ আগে উত্তর মির্জাগঞ্জ গ্রামের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমানের ১টি গরু জবাই করে চামড়া ও পা রেখে মাংস নিয়ে গেছে চোর চক্র।
এছাড়াও ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে চোরেরা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হাওলাদার বলেন, প্রশাসন চুরি বন্ধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। চোর চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments