বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত চলাকালীন হঠাৎ বিকট শব্দে একটি ড্রোন বাঁশের খুঁটি ও টিনের ছাউনিতে আছড়ে পড়ে। এতে মুসল্লিরা আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করতে থাকেন। এতে অর্ধশতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন আবুল কালাম (৫৫), আলামিন (৩২), আজাদ (৩০), ওবায়দুল্লাহ (৩২), রাতুল (১৮), আব্দুল করিম (২৮) সাইফুল ইসলাম (৩৮), জাফর উদ্দিন (৩১) জয়নাল (২৪), মকবুল হোসেন (৬৪) সোহাগ (৬০), মোশারফ (৩০), কোরবান আলী (২৫), সাইফুল ইসলাম (৩৫), সালামত (১৮), মুস্তাকিন (৩৩), কবির হোসেন (৩০), মুবিন (১৮), আয়নাল হক (২২), মামুন হোসেন (২১), মো. বাসেদ (১৩), খোকন (৪৩), জুয়েল (২৫), কবির হোসেন (৪৬), নাজিম উদ্দিন (৪১), জবরুল (৩১), জয়নাল (৫৪), কাওছারুল আলম (২৮), রায়হান (২৭), জহরুল (২৮), আলি নেওয়াজ (৩৮), আফতাব উদ্দিন (৪৭) মো. আমান (২৮), আনোয়ার (৪৫), সোহেল (৩৫), ফজল হক (৪৫) ও মুজাফফর আলীসহ (৪৪) অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। এর মধ্যে ৪১ জন টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা গেছে, রোববার সকালে তাবলিগ জামাতের মাওলানা জুবায়ের মূল বয়ান মঞ্চে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করছিলেন। মোনাজাত চলাকালে ময়দানের উত্তর পশ্চিম অংশে একটি ড্রোন উড়ছিল। কেউ ড্রোন দিয়ে ভিডিও ধারণ করছিলেন। হঠাৎ করে ড্রোনটির একটি বাঁশের খুঁটিতে আছড়ে পড়ে। এতে বিকট শব্দ হলে মুসল্লিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আতঙ্কে ছুটোছুটি করতে থাকেন। এ সময় পদদলিত হয়ে অনেকে আহত হন। পরে কিছু মুসল্লি শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে ড্রোনটির সন্ধান পান। পরে ড্রোনটির আর কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ।
টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অর্ধ শতাধিক মুসল্লি আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ইজতেমার মোনাজাত চলাকালে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন বলে আহতরা জানিয়েছেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, একটি ড্রোন আকাশে উড়ছিল। সম্ভবত ড্রোনটির ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেটি ইজতেমা ময়দানের একটি বাঁশের খুঁটিতে ও টিনে আছড়ে পড়ে। মুসল্লিরা অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
মোনাজাতের পরে ইজতেমার বয়ান মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হয়, একটি ড্রোন ইজতেমা ময়দানের একটি টিনের ছাউনিতে আছড়ে পড়েছিল। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments