রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই সিটির আওতাধীন ৬টি খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে মিরপুরে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিন উপদেষ্টা। এ সময় লালগালিচা মাড়িয়ে ভাসমান এক্সকাভেটরে (খননযন্ত্র) ওঠেন তারা।
তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনার তৈরি হয়েছে। তাই এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বরে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করতে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এদিন দুপুরে লালগালিচার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় ডিএনসিসি।
বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসি বলে, যেখানে ভাসমান এক্সকাভেটর রাখা হয়েছে, তা কোনো স্থায়ী পন্টুনে স্থাপিত নয়, বরং একটি অস্থায়ী স্থানে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এক্সকাভেটরে ওঠার রাস্তাটি অনেক ঢালু ও কাদামাটির হওয়ায় এবং এক্সকাভেটরের ফ্লোর পিচ্ছিল থাকায় অতিথিদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত এবং চলাচল এলাকা দৃষ্টিগ্রাহ্য করতে একটি লাল রঙের কার্পেট সদৃশ ম্যাট ব্যবহার করা হয়েছে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, এটি কোনো আনুষ্ঠানিক লালগালিচা নয়, বরং শুধু নিরাপত্তার স্বার্থে রাখা একটি ব্যবস্থা। এখানে কোনো ধরনের অপব্যয় বা অতিরিক্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নেই। যেহেতু ভাসমান এক্সকাভেটরে ওঠানামার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ, তাই ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
ডিএনসিসি সব সময় স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও জনস্বার্থের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে থাকবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মানবকণ্ঠ/এসআরএস
Comments