Image description

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতি বছর সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে বসে এক ঐতিহ্যবাহী দই মেলা। প্রায় আড়াইশ বছর ধরে চলে আসা এই মেলা শুধু স্থানীয়দের নয়, দূরদূরান্তের ভোজন রসিকদেরও কাছেও সমান জনপ্রিয়।

এই মেলায় হরেক রকমের দইয়ের সমাহার দেখা যায়। ক্ষীরসা দই, শাহী দই, চান্দাইকোনার দই, শেরপুরের দই, বগুড়ার দই, টক দই, ডায়াবেটিক দই, শ্রীপুরী দই এবং আরও অনেক নাম। স্বাদের ভিন্নতার পাশাপাশি দামেও রয়েছে ভিন্নতা। তবে, শুধু দই নয়, মেলায় আরও পাওয়া যায় ঝুড়ি, মুড়ি, মুড়কি, চিড়া, মোয়া, বাতাসা, কদমা, খেজুরের গুড়সহ নানান ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার।

স্থানীয়দের মতে, তাড়াশের তৎকালীন জমিদার বনোয়ারী লাল রায় বাহাদুর এই মেলার প্রচলন করেন। তিনি নিজে দই ও মিষ্টান্ন ভালোবাসতেন এবং জমিদার বাড়িতে আসা অতিথিদের আপ্যায়নে পরিবেশন করতেন। সেই থেকেই প্রতি বছর শীতকালে মাঘ মাসে সরস্বতী পূজার দিন এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

দই বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুধের দাম, জ্বালানি খরচ, শ্রমিক খরচ এবং দইয়ের পাত্রের দাম বাড়ার কারণে সম্প্রতি দইয়ের দামও বেড়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই মেলা এখনও স্থানীয়দের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। তবে, আগের তুলনায় জৌলুস কিছুটা কমেছে বলে অনেকের মতে। তবুও, এই মেলা তাড়াশের ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং আগামীতেও এটি টিকে থাকবে বলে আশা করেন তারা।

মানবকণ্ঠ/এসআর