Image description

পটুয়াখালির কুয়াকাটায় সাংবাদিক  জহিরুল ইসলাম মিরনকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার(৫ ফেব্রুয়ারী) আনুমানিক রাত ১.০৫  মিনিটের দিকে কুয়াকাটার তুলাতুলি নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই সাংবাদিককে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

আহত ওই সাংবাদিক কুয়াকাটা পৌরসভার তুলাতুলি (৫ নং ওয়ার্ড) গ্রামের হাবিব মাস্টারের ছেলে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি খানাবাদ কলেজের প্রভাষক হিসেবেও কর্মরত আছেন।

স্থানীয় ও পু‌লিশ সূত্রে জানা গেছে, আহত সাংবাদিক মিরন মঙ্গলবার রাত ১ টার দিকে তুলাতুলি নামক এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ‌ছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত মাইক্রোবাস থেকে নেমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে কারা কুপিয়েছে কিছুই বলতে পারেনি ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক। 

কুয়াকাটা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুবায়ের আহমেদ রিয়াজ খান বলেন, আমি, সাংবাদিক মিরন ও আমার বন্ধু এমাদুল ঢাকা থেকে কাজ শেষ করে রাত ১২.৩৫ মিনিটের দিকে কুয়াকাটা এসেছি। মিরন ভাইকে তুলাতুলি নামক এলাকায় তার বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে আমরা বাসায় চলে গেছি। কিছুক্ষণের মধ্যে ফোন আসে যে তাকে কোপানো হয়েছে।তবে কে বা কাহার কুপিয়েছে কিছুই জানা যায়নি। যেসকল সন্ত্রাসীরা এরুপ কর্মকান্ড করেছে তাদের বিচারের দাবী জানাচ্ছি। 

কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সহকারী মেডিকেল অফিসার ড.রিয়াজ বলেন, রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ, এর মাথার সামনের দিকটায় মারাত্মক আঘাত রয়েছে। বাম হাতের এলবো জয়েন্ট (কনুই) একটু লেগে আছে, ডান হাতের রিস্ট জয়েন্ট(কবজি) সেটাও ঝুলে আছে, পেটের বাম সাইডে ছুরির আঘাত আছে। রোগীর প্রচুর পরিমানে ব্লেডিং হচ্ছে, রোগীর অবস্থা খুবই গুরুতর হওয়ায় তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখনও আমরা অভিযোগ পাইনি।  তবে সিসি টিভি ফুটেজ, ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ আমাদের মনিটরিং চলছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানবকণ্ঠ/আরআই