গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও খুলনার রূপসা নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে রূপসার দুই তীর ও খানজাহান আলী সেতুসহ আশপাশের লাখো জনতা এই মনোমুগ্ধকর নৌকা বাইচ উপভোগ করেন। এই সময় এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নানা রঙের পোশাকে সজ্জিত হয়ে দর্শকরা নদীর দুই ধারে দাঁড়িয়ে নৌকা বাইচ উপভোগ করেন।
তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে খুলনার রূপসা নদীতে আকর্ষণীয় এ নৌকা বাইচের আয়োজন করে খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন। এ নৌকা বাইচ রূপসা নদীর এক নম্বর কাস্টমস ঘাট থেকে খানজাহান আলী সেতু পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে কয়রার সুন্দরবন টাইগার্স নামক নৌকা বাইচ দল, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় জয় মা কালী ও মোবাইল নামের নৌকা বাইচের দল। প্রথম স্থান অর্জনকারী দলকে ৭৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, নৌকা বাইচ গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। এরই ধারাবাহিকতায় উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনাবাসীকে নির্মল বিনোদন উপভোগের সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এটি হচ্ছে তারুণ্যের উৎসবের অংশ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে আমরা তারুণ্যের উৎসব উদযাপন করছি। আমরা চাচ্ছি তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন করে বাংলাদেশটাকে সাজাতে, যেখানে সহযোগিতার নীতি প্রচার করা হবে। একে অপরের কাজে আমরা সহযোগিতা করবো এবং তারুণ্যের শক্তিকে প্রকাশ ঘটিয়ে নতুন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। এ সময় নৌকা বাইচের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদেরকে উদ্দেশ্য করে প্রধান অতিথি বলেন, আপনারা যারা নৌকা বাইচে অংশগ্রহণ করবেন, আপনাদের সুশৃঙ্খল অংশগ্রহণের মাধ্যমে আজকের এই উৎসবটি আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে নৌকা বাইচ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আক্তার জাহান, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার ও খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments