Image description

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিজ বাড়ি থেকে সুমাইয়া আক্তার (৪০) নামের এক  মাদ্রাসা শিক্ষিকার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার ঠাকুরকান্দী গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

নিহত সুমাইয়া আক্তার ঘিওর সদর ইউনিয়নের ঠাকুরকান্দি গ্রামের মোস্তাক আহমেদের স্ত্রী। তিনি ঠাকুরকান্দী পশ্চিমপাড়া জবেদা খাতুন দারুল উলুম মহিলা মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। 

নিহত সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক আহমেদ বলেন, রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে ঘরে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করি। পরে বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণের বাথরুমের সামনে গলা কাটা ও রক্তাক্ত অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখি। প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে দ্রুত ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি। এরপর পুলিশ আসেন।

নিহতের দেবর খন্দকার লাল মাহমুদ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যার পর নিহতের মরদেহ দাফন করা হবে। তবে একটু সময় লাগবে। আত্মীয়-স্বজনরা সবাই আসলে, এ ঘটনায় মামলা করা হবে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

ঘিওর থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকমভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাত ৯টার দিকে গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তারকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার গলায় জখমের চিহ্ন রয়েছে।

ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মোস্তাক আহমেদ ও প্রতিবেশী আলী হাসান খন্দকারের ছেলে বাপ্পি খন্দকারকে (১৮) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা চলছে।

মানবকণ্ঠ/এসআর