Image description

মদপানে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার গফরগাঁওয়ে এ ঘটনায় অসুস্থ আছে আরও একজন। ময়মনসিংহের সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়।

মদপানে মৃতরা হলো—উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ গ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে সুমন মিয়া (৩৫), একই ইউনিয়নের তামাদি পাড়া কিতাব আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (৫৩) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার সদর উপজেলা সোহেলপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে নিজাম উদ্দিন (৫০।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফাঁড়ি ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শফিক উদ্দিন হাসপাতালে দুজন এবং গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার মোফাজ্জল হোসেন একজন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এসআই শফিক উদ্দিন বলেন, ‘মদপানে অসুস্থ দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সন্দেহজনক মাসুদ মিয়া নামে একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’


উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘রোগী বমি করছে বলে সুমন নামে একজনকে মৃত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। একই সাথে সজিব (৩২) নামে আরও একজনকে নিয়ে আসে। সজিব এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে একই দিন ভোর রাতে বমি করা অবস্থায় আব্দুল জলিল ও নিজাম উদ্দিনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শুনেছি সেখানেও দুজন মারা গেছে।’

গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘গতরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজাম উদ্দিন ঢাকা থেকে এক লিটারের এক বোতল মদ নিয়ে জলিলের বাড়িতে আসে। সেখানে পাঁচ বন্ধু মিলে মদ পান করে। মদপানের পর চারজনই অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বমি করতে থাকে। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুমন মারা যায়। অপর দুজন জলিল ও নিজামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুরের দিকে মৃত ঘোষণা করেন।’

মানবকণ্ঠ/আরআই