Image description

সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, বদরুদ্দিন উমর যে সাংস্কৃতিক রাজনীতির কথা বলতেন, যে লেন্সে ফেলে ইতিহাসের বিশ্লেষণ করতেন সেটা বহু গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অলক্ষ্যে জ্বালানী দিয়েছে। ২৪-ও তার বাইরে না।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ফেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেন, ইউনেস্কোতে আমাদের গতকালকের কালচারাল ইভেন্ট শুরু হয়েছে উমর ভাইয়ের সাক্ষাৎকারের শট দিয়ে। খুবই ছোট্ট একটা ক্লিপ, কিন্তু একটা সিগনিফিক্যান্স আছে আমাদের কাছে। উমর ভাইদেরকে সাইডলাইন করে, যে ফেইক শিশুতোষ বুদ্ধিজীবিতা বাংলাদেশে মেইনস্ট্রিম করে তোলা হয়েছিলো এই পাপের ফল আমরা এক দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের মধ্য দিয়ে ভোগ করেছি।

যাই হোক, স্মৃতি নাকি হারিয়ে যায়। সেটা যেনো না হারায় সেজন্য কালকের অনুষ্ঠানের কিছু ছবি তোলা থাকলো এখানে। অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া সব শিল্পীর প্রতি কৃতজ্ঞতা। শূন্যের মহাজন, সেজান- পালাকারের ৫২ ফিচারিং ২৪, পারশা-টুনটুন বাউলের ঘোর লাগা ‘জাত গেলো’, পিংকি-পারশার গাওয়া বাংলাদেশর চার ভাষায় গাওয়া আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো মুগ্ধ করেছে সবাইকে। বাংলাদেশকে ভিন্ন ভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। কিছু ভিডিও রিল আকারে শেয়ার করবো। বিশেষ কৃতজ্ঞতা তানিম নুর এবং জাহিদ নিরবের প্রতি—যোগ করেন তিনি। 

তিনি বলেন, ধন্যবাদ প্যারিসে বাংলাদেশ দুতাবাসকে, পুরো জিনিসটা বাস্তব করে তোলার জন্য। ধন্যবাদ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে আমার সব কলিগকে। আজকে হয়তো খুলে বলবো না। কিন্তু একসময় বলবোই। এই অনুষ্ঠান সফল করার জন্য আমার কোনো একজন কলিগ ব্যক্তিগত ভাবে এমন একটা কাজ করেছেন যেটা কোনো সরকারী কর্মকর্তা করবেন কিনা আমি জানিনা। আমাদের যেমন খারাপ অফিসার নিয়ে কাজ করতে হয়, তেমনি এরকম অবিশ্বাস্য রকম নিবেদিত অফিসার নিয়েও আমরা কাজ করতে পারি বলেই অল্প হলেও কিছু কাজ করতে পারছি।

সবশেষ তিনি লিখেন, এক্সট্রিমলি স্লিপ ডেপ্রাইভড। নাউ টাইম টু স্লিপ।