Image description

মুখ থুবরে পড়েছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম। বেশিরভাগ পুরান গ্রাহকও দিচ্ছেন না মাসিক চাঁদা। পুরোপুরি প্রস্তুতি না নিয়ে স্কিম চালু করায় এ অবস্থা বলছেন অর্থনীতিবিদরা। পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্রাহক আকর্ষণে গ্র্যাচুইটি, বীমার মতো সুবিধা স্কিমে যুক্ত করা হবে।

বয়স্ক, নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর শেষ বয়সের আর্থিক সুরক্ষায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট চালু হয় সর্বজনীন পেনশন। জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে গ্রাহক নিবন্ধন শুরু হলেও সাড়া ছিলো কম।

গতবছর ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পেনশন স্কিমে নতুন গ্রাহক যুক্ত হওয়া, চাঁদা পরিশোধ অনেকটা স্থবির। ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেড় বছরে 'প্রবাস’ ‘প্রগতি’, ‘সুরক্ষা’ ও ‘সমতা স্কিমে মোট যুক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৪ গ্রাহক। তহবিলে জমা পড়েছে ১৬০ কোটি ১০ লাখ টাকার মত। ২০২৪ সালের জুনের পর ৮ মাসে তহবিল বেড়েছে মাত্র ৭ কোটি টাকা।

স্কিম চালুর আগে ভবিষ্যৎ মূল্যস্ফীতি, গ্রাহকের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের রিটার্ন, সরকারি দায়সহ বিভিন্ন আর্থিক পর্যালোচনায়র ঘাটতি ছিলো বলে মত অর্থনীতিবিদদের। যার ধারাবাহিকতায় বিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। 

অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভালোভাবে বিবেচনা না করেই এগুলো নিয়ে আসা হয়েছে। এখন আমি খানিকটা বিশ্বাসের ঘাটতি আছে, বিশ্বাসযোগ্য হতে সময় লাগবে। এই সময়টাই আমাদের সরকারের উচিৎ হবে এগুলো আরেকটু যাচাই-বাছাই করা। আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার করতে হবে, এই স্কিমগুলো থাকবে, এই স্কিমগুলোকে শক্তিশালী করা হবে। তাহলে মানুষের বিশ্বাস ফিরে আসবে।’
 
পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান জানান, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার ভবিষ্যত নিয়ে গত অক্টোবরে অর্থউপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভা হয়। সেখানে তাগিদ দেয়া হয় বিদ্যমান স্কিমগুলোকে আরো আকর্ষণীয় করার।   

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন খান বলেন, ‘আরও স্কিমগুলো গ্র্যাচুইটি দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে স্বাস্থ্য বীমা যোগ করা যায় কি না? অনেকেই আছেন নিম্ন আয়ের কর্মচারি, তাদের স্বাস্থ্য এবং যে চাঁদাটা দিতে পারলেন না সেটা হয়তো তাদের পক্ষে বীমা কোম্পানি পরিশোধ করবে।’  

পোশাক খাতের শ্রমিক, প্রবাসী কর্মীদের পেনশনে যুক্ত করতে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

মানবকণ্ঠ/আরআই