
সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় কয়েকদিন ধরে চলছে মাছ লুটের মহোৎসব। মাত্র ছয় দিনে লুট হয়েছে ৯টি জলমহালের ৫-৭ কোটি টাকার মাছ। এসব জলমহাল বৈধ ইজারাদারদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও স্থানীয় হাজারো মানুষের দলবদ্ধভাবে বিলের মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছেন।
গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক জলমহালে ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। শনিবার কামান বিল, রোববার হাতনী বিল, সোমবার বারোঘর বিল, মঙ্গলবার সতোয়া বিল, লাইরাদিঘাসহ লুট হয়েছে সাতটি বিল। সবশেষ বুধবার (৫ মার্চ) খাড়া বিল ও বেইতর বিল থেকে মাছ লুট হয়েছে।
বুধবার দিরাই পৌরসভার সুজানগর শ্যামপুর বেইতর বিলে দেখা যায়, শতশত মানুষ মাছ ধরছেন। কেউ বড় জাল দিয়ে, কেউ পলো ব্যবহার করে, আবার কেউ হাতে ধরছেন মাছ। কেউ আবার এসেছেন পুরো পরিবার নিয়ে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে বেইতর বিলে মানুষ মাছ ধরতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে মানুষ আরও বাড়তে শুরু করে। আশপাশের উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এসেছেন। উৎসবের মতো মাছ ধরছে সবাই। লুট হওয়া বিলের ইজারাদার বিভিন্ন সমিতি হলেও মূলত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা এসব নিয়ন্ত্রণ করত। সে কারণেই দিনে-দুপুরে উল্লাস করে মাছ লুটতে ব্যস্ত সবাই। আশপাশের ১২-১৫ গ্রামের মানুষ এই লুটপাটে অংশ নিয়েছে।
বিলগুলোর ইজারাদাররা বলছেন, মাছ লুটের কারণে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তারা লুট ঠেকাতে পারছে না।
Comments