Image description

গত ৫ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে বিদায় নেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সেদিন তিনি ১০ মার্চের মধ্যে শিক্ষার্থীরা সব বই পেয়ে যাবে বলে জোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। তবে সেই প্রতিশ্রুতিও রাখতে পারেনি এনসিটিবি। তবে এবার ১৬ মার্চের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে সব পাঠ্যবই দেওয়ার ‘শেষ প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছেন পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। 

এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘আশা করছি ১৬ মার্চের মধ্যে সব শ্রেণির সবগুলো বই দিতে পারবো আমরা’। বই দিতে দেরি হওয়ার পেছনে ছাপাখানা মালিকদের দায়ী করে চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘কিছু প্রেস কাজ পেয়েছে, কিন্তু কাজটা তারা নানান বাহানায় করছে না। তারা আসলে অসুস্থ। তারা কারও কথাও শুনতে চান না। এজন্যই বই দিতে এত দেরি।’

এদিকে অনেক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা চাহিদার অতিরিক্ত বই নিয়ে জিম্মি করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান। তার মতে, চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত বই পেয়েছেন কিছু উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা। তাদের শাস্তি পেতে হবে। এরই মধ্যে সেই আদেশ পাঠানো হয়েছে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, শাস্তির ঘোষণার পরপরই দেখা গেছে, অনেক শিক্ষা কর্মকর্তা অতিরিক্ত বই ফেরত দেওয়া শুরু করেছেন। সেই বই আমরা অন্য উপজেলায় পাঠাচ্ছি। এদিকে এনসিটিবি সূত্র জানায়, ১০ মার্চ পর্যন্ত ৩৮ কোটি ২৯ লাখ ৬১ হাজার কপি পাঠ্যবই ছাপা হয়েছে। এ বছর মোট বই ৪০ কোটি ১৬ লাখের কিছু বেশি। সেই হিসাবে এখনো প্রায় ২ কোটি বই ছাপা বাকি। তাছাড়া ছাপা হলেও আরও দুই কোটি ৩৭ লাখ কপি বই বিতরণ প্রক্রিয়াধীন। সেগুলো এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বা শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায়নি।

মানবকণ্ঠ/আরআই