Image description

গত দুই মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে সারাদেশে ৩৩১ জন কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যা প্রতিদিন গড়ে ৬ জনের বেশি। সারাদেশে চলমান এই শিশু নির্যাতনের যে সংকট, এটি শুধু শিশুদের জীবনকে ধ্বংস করে না বরং সমাজের মূল ভিত্তিকেও নষ্ট করে দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

শিশু ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শিশুদের অধিকার নিয়ে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনগুলো (এনজিও) এ তথ্য দিচ্ছে। 

শিশু ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রোববার সকালে রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করেন বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা। শিশু নিপীড়ন বন্ধে আলাদা অধিদপ্তর করার আহ্বান জানান তারা।

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা জানান, শিশুরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি নিজ বাড়িতেও নিরাপদ নয়। শিশুদের জন্য আলাদা অধিদপ্তর গঠনের আহ্বান জানান তারা।

সেভ দ্যা চিলড্রেনের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘চাইল্ড ওয়েলফেয়ার বোর্ডের কথা বলা হয়েছে উপজেলা পর্যায়ে, ইউনিয়ন পরিষদে স্ট্যান্ডিং কমিটির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দিন শেষে সেগুলো এসে কোন জায়গায় মিলবে, কোন জায়গায় আমরা সারাদেশের শিশু সুরক্ষার চিত্র দেখতে চাই সেরকম একটি পৃথক অধিদপ্তরের কথা আমরা বেসরকারি সংগঠন সেভ দ্যা চিলড্রেনসহ আমরা বলে আসছি।’

সম্প্রতি ডিএমপি কমিশনার গণমাধ্যমে ‘ধর্ষণ’ শব্দের বদলে ‘নারী নির্যাতন’ বা ‘নারী নিপীড়ন’ লেখার অনুরোধ করেন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে মানবাধিকার কর্মীরা বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ভিন্ন নাম দেওয়ার সুযোগ নেই। সব অপরাধকে একইভাবে দেখা যাবে না।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘ধর্ষণ না বললে তাহলে সেখানে যে একটা যৌন নির্যাতন ও নিপীড়নের বিষয় আছে সেটা কিন্তু ডাইলিউট হয়ে যাবে এবং আমরা এটা একদম মানতে পারছি না। এটা আমরা চাই না।’

ধর্ষণের সব মামলার অগ্রগতির তথ্য জনসাধারণের কাছে প্রকাশেরও দাবি জানান এনজিওকর্মীরা।
 
মানবকণ্ঠ/আরআই