
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়ন ধনারচর চরের গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত যুবকের নাম আরিফুল ইসলাম (২২)। তিনি ধনারচর চরের গ্রামের সুরুজ্জামাল মিয়ার ছেলে। সুরুজ্জামাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এবং যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি। এলাকায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ‘বড় ভাই’ হিসেবে পরিচিত। গত ৭ মার্চ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তিনি বর্তমানে কুড়িগ্রাম কারাগারে রয়েছেন।
নিহত আরিফের লাশের পাশে একটি ডিঙি নৌকায় মাদক সেবনের আলামত পেয়েছে পুলিশ। পাশে একটি ভুট্টাক্ষেতের ভেতরে সংঘবদ্ধ একাধিক ব্যক্তির মাদক সেবনের আলামত পাওয়া গেছে। তবে আরিফ মাদকসেবীদের সঙ্গী নাকি তাদের হামলার শিকার হয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরিফের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আরিফ ট্রাক্টর চালায়। শনিবার রাতে গাড়ি চালিয়ে বাসায় ফেরে। সেহেরি খেয়ে ভোরে আবার গাড়ি নিয়ে বের হয়। কিন্তু সকালে তার ভাসমান লাশ দেখতে পাই। আমার বড় ভাই গিয়ে লাশ ডাঙায় তোলে। পরে পুলিশ এসে লাশ ও আলামত উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আমার ভাইকে মেরে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
নৌকা ও ভুট্টাক্ষেতে মাদক সেবনের আলামত পাওয়ার বিষয়ে আনোয়ার বলেন, ‘যারা আমার ভাইকে মেরেছে তারা মাদক সেবন করেছিল। আমাদের সন্দেহ তারা আমাদের গ্রামের বাসিন্দা। আগে থেকে শত্রুতার বশে ভাইকে মেরে ফেলেছে। এরপর নৌকার আড়ালে লাশ ফেলে রেখেছে। আমরা মামলা করবো।’
আরিফের মাদক সংশ্লিষ্টতার প্রশ্নে আনোয়ার বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে তার মাদক সেবনের অভ্যাস ছিল। এজন্য কয়েক মাস মাদক নিরাময় কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। সেই থেকে মাদক সেবন বাদ দিয়েছে। পরে বাবা তাকে গাড়ি কিনে দিয়েছেন।’
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রৌমারী সার্কেল) মোমিনুল ইসলাম বলেন, কী কারণে খুন হয়েছে সেটা এখন জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments