Image description

গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও তার মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার গাজীপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দিন এবং গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহিন মিয়া এই অভিযান পরিচালনা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হায়দ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম ও নুরুল্লাহ মামুন কয়েক বছর আগে দুবাই ভ্রমণের সময় সেখানকার হোটেলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি হতে দেখেন। এরপর দেশে ফিরে তারা পরীক্ষামূলকভাবে একটি ঘোড়া জবাই করে পরিবারের মধ্যে ভাগ করে নেন। পরে, চলতি বছরের শুরুর দিকে তারা বাণিজ্যিকভাবে ঘোড়া জবাই করে মাংস বিক্রি শুরু করেন। প্রতি কেজি মাংস ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করা করতেন। প্রথমে সীমিত পরিসরে শুরু হলেও পরে তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ১০টি পর্যন্ত ঘোড়া জবাই করে বিক্রি করা হয় এবং মাংস সংগ্রহ করতে ক্রেতাদের টোকেন নিয়ে লাইন ধরতে হতো।

ঘোড়ার মাংস বিক্রির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। 
দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ঘোড়ার মাংস নিতে ভিড় করেন। দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৩৫০ টাকা। ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতামত প্রকাশ পায়।

স্থানীয় এক মাদরাসার পরিচালক মুফতি আবু সাইদ জানান, ইসলামে ঘোড়ার মাংস খাওয়ার বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে মানুষের অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে এটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা।

মানবকণ্ঠ/আরআই