Image description

বরিশালের উজিরপুরে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দোকান ঘর দখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হলে নজরে আসে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতা কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপুর। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ ব্যানারটি অপসারণ করেন। 

এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সম্পাদক সাংবাদিকদেরকে বলেন, সম্প্রতি উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়ের দুই দফা ব্যানার টানিয়ে দখলে নেয়ার বিষয়টি উজিরপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা জানেন না। এ বিষয়ে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের কোনো নেতাকর্মী বিএনপির ব্যানার টানানোর অনুমতি দেয়নি। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে একদল দখলবাজ ব্যক্তি তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান মাসুমের দোকান ঘরে ব্যানার টাঙ্গিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতৃবৃন্দ বিব্রত হয়েছেন। 

তিনি আরো বলেন, উজিরপুর সহ সারা দেশে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে না পড়ে সে বিষয়ে নেতাকর্মীরা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে । বিএনপির সহ অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মী চাঁদাবাজি ও দখলবাজি চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে দলের যত বড় নেতা হোক তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে উজিরপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাসুম বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি, একই সাথে ঐতিহ্যবাহী এই দলটির সাথে থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন তাদেরকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা উচিত বলে তিনি মনে করেন। রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড মানুষের কল্যাণের জন্যই করা হয়ে থাকে। কিন্তু গুটিকয়েক দুর্বৃত্ত দলের মধ্যে প্রবেশ করে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে দলকে বেকায়দা ফেলছে। একইসাথে সাধারণ ও নিরীহ জনগণকে আতঙ্কিত করছে। তাই দলের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে ওই সকল ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় উচিত। 

শিকারপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার দোকান ঘর থেকে সাইনবোর্ড অপসারণ করে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল সহ কলঙ্কমুক্ত করার জন্য এই কেন্দ্রীয় নেতাকে ধন্যবাদ জানান। একই ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা বলেন, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ ও চাঁদাবাজদের কে শাস্তির আওতায় এনে দলকে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি জানান। 

অপরদিকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রফ মিয়া বলেন, দুর্বৃত্তদের হাত থেকে বীর মুক্তিযুদ্ধ ও সাংবাদিক পরিবারের দোকান ঘর উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে শিকারপুর ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। একই সাথে সংগঠনের মধ্যে দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানান। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলী সুজা বলেন, দোকান ঘরটি বৈধ মালিক সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান মাসুমকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। 

মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুস সালাম বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নেতার হস্তক্ষেপে একটি জটিল বিষয়ের শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ধরনের অনৈতিক কাজের পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকেও দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।