Image description

ভারতের উত্তর প্রদেশে এক ব্যক্তিতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ছুরিকাঘাতে হত্যার পর ওই ব্যক্তিকে খণ্ড খণ্ড করে সিমেন্ট নিয়ে সিল করা একটি ড্রামে ভরে রাখা হয়। এ ঘটনায় মামলার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আজ বুধবার পুলিশের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, এ ঘটনায় নিহত সৌরভ রাজপুত (২৯) একজন মার্চেন্ট নেভি অফিসার। গত ৪ মার্চ তাঁর পরিবার থানায় এসে জানায়, সৌরভ রাজপুতকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর ড্রামে মিলে তাঁর খণ্ডিত মরদেহ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সৌরভের স্ত্রী মুসকান (২৭) ও স্ত্রীর প্রেমিক সাহিলকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। 

জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ জানতে পারে, তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল এবং তারা স্বীকার করেছে যে ৪ মার্চ রাজপুতকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। অভিযুক্তরা আরও স্বীকার করেছে, তারা রাজপুতের দেহ কেটে একটি ড্রামের ভেতরে ফেলে রেখে সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দেয়।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে পুলিশে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মিরাটের ইন্দিরা নগর এলাকায় এই নৃশংস অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। দেহাবশেষ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, স্ত্রী মুসকান তাঁর ফোন থেকে মেসেজ পাঠিয়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। ভয়াবহ এই অপরাধ করার পর অভিযুক্ত সাহিলও একটি পাহাড়ি এলাকায় ছুটি কাটাতে যান।

২০১৬ সালে এই দম্পতি বিয়ে করেন। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের পরিবার তাদের বিয়ে নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল। তাই তারা তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে ইন্দিরা নগর ফেজ ১-এ একটি ভাড়া বাড়িতে আলাদা থাকতেন। সৌরভ রাজপুত তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানোর জন্য চাকরি ছেড়ে দেন এবং তাঁর পরিবার এ সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ছিল।

এই দ্বন্দ্বের কারণে ভুক্তভোগী আলাদা বাড়ি ভাড়া নেন। তবে, রাজপুত যখন জানতে পারেন যে মুসকান তাঁর বন্ধু সাহিলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে, তখন দম্পতির মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। ওই ব্যক্তি মার্চেন্ট নেভিতে পুনরায় যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি তার মেয়ের জন্মদিন উদযাপনের জন্য ইংল্যান্ড থেকে বাড়ি ফিরে আসেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ৪ মার্চ মুসকান রাজপুতের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় এবং ঘুমন্ত অবস্থায় সাহিল তাঁকে হত্যা করে। রাজপুতের পরিবারের অভিযোগের পর পুলিশ তাদের বাড়িতে পৌঁছালে মৃতদেহ ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।