
যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজানে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে সোমবার (২৪ মার্চ) ইসরায়েলি হামলায় আরো ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এর ফলে গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার ১০০ জনে পৌঁছে গেছে।
এছাড়া গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে সোমবার আরও চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর আনাদোলুর।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ৮২ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও চারজনের লাশ উদ্ধার করেছেন এবং তারাও প্রাণহানির এই সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া ইসরায়েলি আক্রমণে আরও ১৩৪ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪০৮ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল।
তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল, কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত মঙ্গলবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ৭ দিনে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল ও বিমান হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৭৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর হামলায় গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
Comments