Image description

তুরস্কে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থামছেই না। তুরস্কে ছয় দিনের টানা বিক্ষোভের ঘটনায় ১০ সাংবাদিকসহ এক হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এ বিক্ষোভের জন্য প্রধান বিরোধী দলকে দায়ী করেছেন।

মঙ্গলবার প্যারিসভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার রাতে ষষ্ঠ দিনের মতো প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তার নিয়ে এ বিক্ষোভ চলছে।

ইমামোগলু তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা। তিনি ও তার সমর্থকদের দাবি, ইমামোগলুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অগণতান্ত্রিক। 

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে। এতে অংশ নিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সেই সঙ্গে চলছে ধড়পাকড়ও। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের সিংহভাগই তরুণ। তাদের অনেকেই এরদোয়ান ছাড়া তুরস্কের আর কোনো প্রেসিডেন্টকে দেখেননি। তারাই মূলত এ বিক্ষোভের প্রাণশক্তি হিসেবে কাজ করছেন। 

অন্যদিকে, গত পাঁচ দিনে অন্তত ১ হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সাংবাদিকও আছেন। শত শত কর্মী সমর্থকের এক্স অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে। এক সাংবাদিককে ইস্তাম্বুলের সিটি হলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্দোলনের পাঁচ দিনে ১২৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।  

আরেকটি সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান অনলাইনের বলা হয়, রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে কথা বলেছেন এরদোয়ান। তিনি এ বিক্ষোভকে ‘জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বিরোধী দল সিএইচপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনেন। তবে দলটি এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

এদিকে, গ্রেপ্তার সত্ত্বেও সোমবার সিএইচপি তুরস্কের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলুকে দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ২০২৮ সালে ওই নির্বাচন হলেও তুরস্কে প্রেসিডেন্ট পদের দলীয় মনোনয়ন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। সমালোচকরা বলছেন, সিএইচপি নেতার কাছে হারের ভয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার আগেই এরদোয়ান তাকে গ্রেপ্তার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মানবকণ্ঠ/আরআই