
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ঘড়িষার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির আজিজুর রহমান হরমুজ মুন্সির বাড়িতে বেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৬ মার্চ) ভোরে ইউনিয়নের সুরেশ্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজিজুর রহমান হরমুজ মুন্সি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতি করে আসছেন। বর্তমানে তিনি ঘড়িষার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। বুধবার ভোরে একদল দুর্বৃত্ত তার বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় তারা ঘরের সামনে বেশ কয়েকটি হাতবোমা নিক্ষেপ করে ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দে বাড়ির ও আশেপাশে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। ঘটনাস্থলে একটি অবিস্ফোরিত হাতবোমা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ রাড়ী বলেন, "হরমুজ মুন্সি খুব ভালো মানুষ। তার বাড়িতে এমন হামলা খুবই দুঃখজনক। কিছুদিন আগে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগরের বাড়িতেও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এবার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বাড়িতে একই ধরনের হামলা হলো। আমার মনে হয়, এটি বিএনপিকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। আমি অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
যুবদলের ইউনিয়ন সদস্য সচিব ইমরান চৌকিদার বলেন, "আমরা কিছুদিন ধরে দেখছি স্বৈরাচারের দোসররা এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফেসবুকে উসকানিমূলক স্ট্যাটাস দিচ্ছে। প্রশাসন যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আজ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বাড়িতে হামলা হলো, কাল হয়ত অন্য কারও বাড়িতে হামলা করবে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
ঘড়িষার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান হরমুজ মুন্সি বলেন, "আমি সব সময় মানুষের জন্য রাজনীতি করেছি। কেউ বলতে পারবেনা কারো সাথে কোনোদিন খারাপ ব্যবহার করেছি। আমার ব্যক্তিগত কোন শত্রু নেই। গতরাতে কে বা কারা আমার বাড়ির জানালায় বোমা নিক্ষেপ করেছে। এখনো একটি বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় রয়েছে। আমার মনে হয়, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে স্বৈরাচারের দোসরা এ হামলা চালিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) ড. আশিক মাহমুদ জানান, "বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
Comments