
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে অন্তর্বর্তী সরকার। একেক সময় একেক বক্তব্য দিয়ে পতিত সরকারের মতোই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রিকশাভ্যান ও অটোচালকদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সবার ত্যাগ স্বীকার না করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর না জুনে?— এমন দোদুল্যমান বক্তব্য না দিয়ে স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে জাতিকে আশ্বস্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই বলেন যে আন্দোলন কি করা হয়েছে শুধু নির্বাচন করার জন্য? নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেই তো আন্দোলন হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করেননি শেখ হাসিনা। ক্ষমতা রক্ষার জন্য দেশকে একটি কারবালায় পরিণত করেছিলেন।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এই নেতা আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলেও জনগণের সমর্থন রয়েছে। সকল আন্দোলনকারী দল তাদের সমর্থন দিয়েছে।
১২২টি গার্মেন্টস এর শ্রমিকরা এখনও বেতন পাননি, ১৫০ গার্মেন্টস এর শ্রমিকরা বোনাস পাননি উল্লেখ করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন সরকারের দায়িত্ব শ্রমিকদের বেতন ভাতার ব্যবস্থা করা। অবিলম্বে তাদের বেতন বোনাসের ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।
রিজভী বলেন, জুলাই আন্দোলনে ১৭জন রিকশাচালক ভাই জীবন দিয়েছেন। আমি তাদের বাসায় গিয়েছি। কি নিধারুন কষ্টে তাদের পরিবারের সদস্যরা জীবন যাপন করছে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের পরিবার যেন না খেয়ে না থাকে। তাদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। তাদের সন্তানদের লেখা পড়ার দায়িত্বও সরকারকে নিতে হবে। পরিবারের সদস্য যারা চাকরি পাওয়ার উপযুক্ত তাদের চাকরি দিতে হবে। শহিদদের সঠিক তালিকা করতে যেন জালিয়াতি না করা হয় এ দাবিও জানান তিনি।
ইশরাক ন্যায় বিচার পেয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল। সে সময় চোর ডাকাতরা এমপি হতো আর ভালো মানুষদের জায়গা হতো কারাগারে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার উদাহরণ। যদি দেশে সত্যিকার গণতন্ত্র থাকতো তাহলে ২০১৪ সালেই বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতেন।
Comments