
গাজার রাফায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মুসলিম সচেতন নাগরিক হিসেবে সবাইকে ইসরায়েলি পন্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
এসময় তিনি ফিলিস্তিনে সব শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোক প্রকাশ করেন এবং ইসরায়েল যুদ্ধ নীতি ভঙ্গ করে গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। মুসলমানদের ওপরে এই ধরনের হত্যাযজ্ঞ আমরা আর দেখতে চাই না বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে কোমল পানীয় ইসরায়েলি পণ্য হওয়ায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের আহ্বানে খাবার টেবিল থেকে পণ্যটি ফেলে দেয় হাজারও নেতাকর্মী।
গত ছয় মাসে অন্তর্বতী সরকার দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে পারেনি দাবি করে আমিনুল হক বলেন, এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা বিশ্বাস করি দেশে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রুপরেখার বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দ্রুত সময়ের ভিতরে একটি নির্বাচন দেখতে চায়। পরিপূর্ণ ভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ পরিপূর্ণ ভাবে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করতে চায়। সেটি তখনই সম্ভব যখন বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্তবর্তী সরকারের একটি মহল একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে পেছানোর জন্য তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে এবং সেই ইস্যুতে আওয়ামী স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রকারীরা জড়িত রয়েছে বলেও আমিনুল হক অভিযোগ করেন।
সংস্কার প্রসঙ্গে টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কার আপনারাও চান আমরাও চাই। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিচার আমরাও চাই আপনারাও চান। বাংলাদেশকে তখনই আমরা স্বৈরাচার মুক্ত ও সংস্কার করতে পারব, যখন বাংলাদেশে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আমিনুল হক বলেন, বিলম্ব না করে দ্রুত সময়ের ভিতরে একটি নির্বাচন দেন। নির্বাচন দিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। সেই জনগণের সরকার দেশে পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। জনগণের ভোটের অধিকার পূরণ করতে পারবে। বাংলাদেশের সকল মানুষের অধিকার ও দাবি পূরণ করতে সক্ষম হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এ বি এম এ রাজ্জাক (দপ্তর), মো. আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, হাজী মো. ইউসুফ, মো. আফাজ উদ্দিন, মো. শাহ আলম, মাহাবুবুল আলম মন্টু প্রমুখ।
Comments