Image description

লক্ষ্মীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। সোমবার রাতে উপজেলার তোরাবগঞ্জের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। নুরুল আমিন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য।

নিহত নুরুল আমিন (৫০) কমলনগরের তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও কালা মিয়ার ছেলে। তাঁকে হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত সেলিম উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। রাতেই এই ঘটনার প্রতিবাদে তোরাবগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি-যুবদলের নেতা–কর্মীরা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নুরুল আমিনের সঙ্গে প্রতিবেশী সেলিম উদ্দিনের টাকাপয়সার লেনদেন ছিল। এ নিয়ে প্রায়ই তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হতো। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়ির সামনে চা-দোকানের দিকে আসছিলেন নুরুল আমিন। এ সময় সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ৮-১০ জন যুবক তাঁর ওপর হামলা চালান। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। তাতে নুরুল আমিনসহ অন্তত ছয়জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক নুরুল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন বলেন, নুরুল আমিন তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেলিমের সঙ্গে কিছু টাকাপয়সা লেনদেনকে কেন্দ্র করে এ হামলা চালানো হয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সেলিম উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতির পাশাপাশি জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।