Image description

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ নিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় যুবদলের এক নেতাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম ও পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজারের নিউ মার্কেটের পশ্চিম পাশে বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত ধুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রাকিব বিশ্বাসকে (৩০) কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।

রাকিব বিশ্বাস বলেন, বুধবার সকালে জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদের মাঝে ৮০ কেজি করে চাল বিতরণ করে ইউনিয়ন পরিষদ। সেখান থেকে আমরা খবর পাই বেশ কিছু নিবন্ধিত জেলের কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে পছন্দ সই ব্যক্তিদের চাল দিচ্ছেন ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক।

তিনি বলেন, যাদের তিনি চালের স্লিপ দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন বলে জানাতে পারি। পরে মহিপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু ও ধুলাসার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদ সহ আমরা বেশ কয়েকজন সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ জানালে চাল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

রাকিব বিশ্বাস বলেন, এ সময় আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাত ৯টার দিকে আমি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রিন্স খলিফার গ্রামের বাড়িতে যাই। সেখান থেকে ধুলাসার ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গাজী একান্ত কথা আছে বলে আমাকে বাজারের পশ্চিম পাশের বালুর মাঠে নিয়ে আসে। পরে সেখানে বসে আমাকে লাঠিসোঁটা, পাইপ ও হাতুড়ি দিয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পিন্টু, দপ্তর সম্পাদক সিদ্দিক, যুবদলের সদস্য আল-আমিন, আবু বক্কর, মহিব, জালাল উদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মোল্লা ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সদস্য নাঈম ফরাজী বেধড়ক মারধর করে।

তিনি বলেন, এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে তারা আমাকে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। এ সময় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে ধুলাসার ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক (মাস্টার) বলেন, আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি তো দূরের কথা তার সঙ্গে আমার কোন কথাই হয়নি। মারধরের বিষয় আমি কিছুই জানিনা। 

ধুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পিন্টু বলেন, গতকাল রাতে ধুলাসার ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আমাদের জানিয়েছেন রাকিবকে কারা যেন মারধর করেছে। এবিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা।

মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।