
মডেল মেঘনা আলমকে ঢাকায় তার বাসা থেকে পুলিশ আটক করার দুদিন পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালত তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালত এ আদেশ দেয়। তবে আটকের ঘটনা ঘটে গত সোমবার রাতে।
অন্যদিকে, আটকের ঘটনার তিনদিন পর পুলিশ জানিয়েছে, এই নারীকে সুনির্দিষ্ট কারণে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে 'নিরাপত্তা হেফাজতে' রাখা হয়েছে।
এদিকে, মেঘনা আলমকে গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ।
প্রশ্ন উঠছে, অভিযোগ কিংবা মামলা ছাড়াই কাউকে আটক করার যৌক্তিকতা কতটা?
কী ঘটেছিল আটকের সময়
মেঘনা আলমকে নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত গত নয়ই এপ্রিল সোমবার থেকে। ওইদিন রাতে তাকে তার ঢাকার বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)
গত সোমবার রাতে পুলিশ যখন তাকে আটক করতে যায়, সে সময় তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লাইভ করেন। সেই লাইভে তিনি বলছিলেন, তার দরজার বাইরে পুলিশ পরিচয়ধারীরা তাকে নিতে এসেছে।
মেঘনা আলমের ফেসবুক লাইভ চলার সময়ই তার বাসায় পুলিশ প্রবেশ করে এবং তখন লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ১২ মিনিট ধরে চলা ফেসবুক লাইভ পরে তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকেও সরে যায়।
কিন্তু ১২ মিনিটের ফেসবুক লাইভ ততক্ষণে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেকেই সেটি ডাউনলোড করে পুনরায় পোস্ট করে।
আটক হওয়ার আগমুহুর্তে সেই লাইভে তিনি শুরুতেই বলছিলেন, তার বাসায় "কিছু মানুষ আক্রমণ করেছে। তারা নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিচ্ছে। আমি বলেছি থানায় এসে কথা বলবো, তারা কথা শুনছে না।"
লাইভের ভিডিও-তে মেঘনা আলমকে দরজার বাইরে থাকা লোকেদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, "আপনারা আমার দরজার ভাঙ্গার চেষ্টা করছেন। আমার ভয় পাওয়া তো স্বাভাবিক.... না?"
ওই ভিডিও-তে কথোপকথনে শোনা যায়, মেঘনা আলমকে আটক করতে সাত-আট জন 'পুলিশ পরিচয়ধারী' এসেছে এবং তাদের হাতে বন্দুক ছিল।
মেঘলা আলম ঐ ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আপনারা যার কথায় এখানে এসেছেন... তাকে কখনও আমি আমার বাসায় ঢুকতে দেইনি। আপনার তো আমাকে ফোন করে আসার কথা।"
এই নারীর দাবি, বাংলাদেশে নিযুক্ত একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের কথায় 'পুলিশ' তার বাসায় এসেছে এবং একপর্যায়ে ভিডিওতে তিনি বলেন, তাকে মাদকমামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
দরজার ওপাশ থেকে তাকে দরজা খুলতে বলা হলে মেঘনা আলম বলেন, আইন অনুযায়ী তাকে "কারণ (দরজা খোলার) বলতে হবে। অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট থাকতে হবে।"
Comments