Image description

গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ১২৯তম প্রয়াণ দিবস আজ। ১৮৯৬ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। তিনি ছিলেন একাধারে সাংবাদিক, সমাজ সংস্কারক, নারী শিক্ষার পথিকৃৎ, বাউল, সাধক ও সাহিত্যিক। তবে আজকের এই দিনে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়কের বিয়ে থাকায় দিনটি ঘিরে সেখানে কোনো আয়োজন নেই। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন বা কোনো প্রেসক্লাবের পক্ষেও নেই কোনো আয়োজন।

শুধু জাদুঘরে অবস্থিত তার ম্যুরালে জাদুঘরের কর্মচারীরা দায়সারাভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফুলের মালা দিয়েছেন। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন কাঙাল হরিনাথের বংশধররা।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুমারখালী পৌরসভার কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের স্মৃতি জাদুঘরে সরেজমিনে দেখা যায়, সুনসান নীরবতা। প্রধান গেটে ঝুলছে তালা। চত্বরে অবস্থিত ম্যুরালে ফুলের মালা ও পুষ্পস্তবক রয়েছে।

এ সময় জাদুঘরের নিরাপত্তাকর্মী রুহুল আমিন বলেন, জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক তাপস কুমার মণ্ডল চলতি মাসের ৫ তারিখ যোগদান করেছেন। আজ কাঙাল হরিনাথের প্রয়াণ দিন। আবার আজই স্যারের (তত্ত্বাবধায়ক) বিয়ে। সেজন্য আলোচনা সভা ও অন্যান্য অনুষ্ঠান পেছানো হয়েছে। পরে করা হবে। 

দিনটি ঘিরে কোনো আয়োজন না থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাঙাল হরিনাথের চতুর্থ বংশধর স্বর্গীয় অশোক মজুমদারের স্ত্রী গীতা রানী মজুমদার। তিনি বলেন, কাঙাল ভাঙিয়ে অনেকজন বড় লোক হয়েছে। তবে সেই কাঙাল কাঙালই আছে। কাঙালের মতোই যাচ্ছে তার তিরোধান দিবস।

এ বিষয়ে জানতে কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক তাপস কুমার মণ্ডলকে ফোন দেওয়া হয়। তার ফোনটি অন্য একজন রিসিভ করে বলেন, তাপসের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে। পরে কথা বলে নিয়েন।

কাঙাল হরিনাথের অনুষ্ঠানগুলো সাধারণত জাদুঘর কর্তৃপক্ষ করে থাকে বলে ফোনে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। তিনি বলেন, আয়োজনের বিষয়টি জাদুঘর কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

কাঙাল হরিনাথ ১৮৩৩ সালের ২২ জুলাই কুমারখালীর কুণ্ডুপাড়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮৬৩ সালের এপ্রিল মাসে কুমারখালী থেকে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা নামের একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন। তার স্মরণে কুমারখালীতে একটি স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে তাঁর ভিটা ও সমাধি।