Image description

দীর্ঘদিন যাবৎ অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদাহের কারণে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মৌসুমি ফল আম, লিচু ও কাঁঠালের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষকেরা। ফলের গুঁটি ঝরে পড়ায় প্রতিনিয়ত কীটনাশক স্প্রে ও পানি সেচ দিয়েও রক্ষা পাচ্ছেন না পচন ও গুটি ঝরে পড়ার হাত থেকে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ছোট বড় মিলে প্রায় ৩০টি আম, লিচু ও কাঁঠালের বাগান আছে। এছাড়া প্রায় প্রতি বাড়িতেই আম লিচু কাঁঠালের গাছ রয়েছে। প্রথমদিকে আবহাওয়া  অনুকূলে থাকায় এসকল গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আম, লিচু ও কাঁঠালের গুটি ধরলেও দীর্ঘদিনের অনাবৃষ্টি ও অব্যাহত তাপমাত্রার কারণে এসকল গাছ থেকে ফলের গুঁটি শুকে পচে ঝরে পড়ছে। পচে যাওয়া ও ঝরে পোড়া রোধে এলাকার বাগানিরা প্রতিনিয়ত কীটনাশক ও পানি সেচ দিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলার ধামাইনগর, পাঙ্গাসী, ব্রহ্মগাছা, সলঙ্গা, চান্দাইকোনা, ধানগড়া ইউনিয়ন ও রায়গঞ্জ পৌরসভাসহ কয়েকটা এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ফল বাগানের এই দূর অবস্থার চিত্র।

ধামাইনগর ইউনিয়নের তনেশ্বর এলাকার বাগানী সহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের বাগানে আম, লিচু, ও কাঁঠালের প্রায় পাঁচ হাজার গাছ আছে। এগুলো গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ মুকুল এসেছিল এবং ফলের গুঁটি ধরেছিল। তবে অনাবৃষ্টি ও দাবদাহের কারণে বাগানের আম ও লিচুর গুঁটি শুকিয়ে ঝড়ে পড়ছে। কিছু কিছু গাছে কিছুই অবশিষ্ট নেই।

একই ইউনিয়নের একটি লিচুবাগানের মালিক আবির হাসান বলেন, খরার কারণে অনেক লিচু অকালে ঝরে যাচ্ছে। গাছে থাকা লিচুও ফেটে যাচ্ছে। এতে আশানুরূপ ফলন হবে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ জানান, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে আম, লিচু কাঁঠালসহ অন্যান্য ফলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা এই ক্ষতির মোকাবেলা করতে সার্বক্ষণিক চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।