
মাকে কিরিচ দিয়ে কোপাচ্ছিল কয়েকজন সন্ত্রাসী। মেয়ে একহাতে টর্চলাইট জ্বালিয়ে অন্যহাতে স্মার্টফোনে ভিডিও ধারণ করেন। মাকে কোপাতে দেখে তিন বছরের আরেক ছোট মেয়ে কান্না করছে। এমন এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের রাউজানে।
রাউজান পৌরসভার ০৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতানপুর গ্রামের কাজীপাড়ার আবদুল হাকিমের স্ত্রী তাহেরা আকতার (৩৮) নামে এক নারীকে কিরিচ দিয়ে কোপানোর ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ২টায় ধারণকৃত মাকে কোপানোর ভিডিওটি শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে মেয়ে সানজিদা।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, প্রতিবেশী মঈনুদ্দীন ছরওয়ারের সঙ্গে তাহেরা বেগমের স্বামী আবদুল হাকিমের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এরমধ্যে পাকা ভবন তৈরির চেষ্টা করলে আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত বিবাধমান জায়গায় গৃহ নির্মাণ করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উভয়পক্ষকে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বলা হয়। আইন অমান্য করে মাটি ভরাট ও পাকা ভবনের কাজ শুরু করায় প্রতিবাদ করলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এনে হামলা চালানো হয়।
কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে আহত করার পর ঘর থেকে আমার স্বামীর মৎস্য ব্যবসার মূলধন এক লাখ তিন হাজার টাকা, একজোড়া স্বর্ণের কানের দোল, স্বর্ণের চেইন, এক লাখ তিন হাজার টাকা। তাহেরা আকতার বলেন, আমার স্বামীকে হত্যা করার উদ্দেশে তারা এসেছিল।
আমাকে কুপিয়ে টাকা, স্বর্ণের চেইন, স্বর্ণের কানের দোল নিয়ে যায়। আমি মঈনুদ্দীন ছরওয়ারের ভাতিজা সুমন মুন্সী ও মাসুমকে ছিনতে পেরেছি। কিরিচ দিয়ে কোপ দেওয়া ব্যক্তি হচ্ছে সুমন মুন্সি। ১৫-২০জন ছিল। তাদের কাছে দেশীয় অস্ত্রছিল।
অভিযুক্ত সুমন মুন্সি ও মাসুমের নম্বরে ফোন করা হলে তাদের নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত সুমন মুন্সিকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে। তিনি রাউজান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মহিউদ্দিন মাস্টারের ছেলে।
এই বিষয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইঁয়া বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছে। ভিকটিমের পক্ষ থেকে থানায় এজাহার দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি। ’
Comments