Image description

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে থাকা সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র পুড়ে যায়নি, এগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মঙ্গলবার দুপুরে এ মামলার তদন্ত নিয়ে সময় আবেদনের শুনানির পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদ রউফ জানান, সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সময় ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। কেউ কেউ ডিবির নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন, তা সঠিক নয়। আগুনে পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নাই। ডিবির অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরোনো নথি ও ডকুমেন্টস খুঁজে পাওয়া সময়সাপেক্ষ।

তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষ ৯ মাস সময় বৃদ্ধির কথা বললে বাদীপক্ষে আইনজীবী শিশির মনির ৩ মাস বৃদ্ধির কথা বলেন। আদালত ৬ মাস বৃদ্ধির মৌখিক আদেশ দেন।

এরআগে গত ১৫ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ মে ধার্য করেন আদালত। এ নিয়ে ১১৭ বার পেছায় প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। ঘটনার সময় বাসায় ছিল তাঁদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম। গত বছরের ৪ নভেম্বর মামলাটির তদন্তভার নেয় পিআইবি। মামলার আসামিরা হলেন-রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির ২ নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের বন্ধু তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে আটক।