জুলাই সনদ স্বাক্ষরের নামে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাপ্রতারণা’ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।
তিনি বলেন, “বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত করার আগেই জুলাই সনদ সাক্ষরের নামে মহাপ্রতারণা অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়, সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টি অংশ নেয় নাই।
“কারণ আমরা বলেছি, জুলাই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সেই পদ্ধতি যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা না বলবেন, (ততক্ষণ) আমরা কিন্তু জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে পারি না।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলরুমে এনসিপির ফরিদপুর অঞ্চলের সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
সারোয়ার তুষার বলেন, “শাপলাকলি দেওয়ার মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে, এনসিপি বাচ্চাদের দল। গত ১৭ বছর রাজনীতি ও গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা ছিলো না। এই বাচ্চাদের তীব্র আন্দোলনের দ্বারা স্বৈরাচারের পতন হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে তুষার বলেন, “অনেক জল ঘোলা করেছেন। একবার দিবো না বলে ফেলছেন, এই ইগোর জায়গা থেকে বেরিয়ে আসুন।
“আপনারা শাপলা কলি দিতে চেয়েছেন, তা দ্রুতই শাপলা হয়ে ফুটবে। ফরিদপুরে শাপলা হবে নৌকার বিকল্প। নৌকা ডুবে যাবে, শাপলা পানিতে ফুটে উঠবে।”
নির্বাচন কমিশন ‘বিশেষ দল দ্বারা প্রভাবিত’ দাবি করে তাদের দিয়ে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন এই এনসিপি নেতা।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তুষার বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ নিয়ে না ভোটের ক্যাম্পিং করছে। তাদের ৩০ শতাংশ ভোট না ভোটের পক্ষে গেলেও বাকি বিপুল ভোটে জুলাই সনদ পাশ হবে। তখন তারা আয়নায় মুখ দেখাতে পারবে না।
তিনি বলেন, এরা অতীত থেকে কিছুই শিক্ষা নেয়নি। তাদের নেতা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে হ্যাঁ এবং না ভোটের আয়োজন করেছিলেন। অথচ এই বিএনপি হ্যাঁ না ভোটের বিরোধিতা করছেন।
বিএনপিকে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে না দাঁড়িয়ে হ্যাঁ ভোটের পক্ষে ক্যাম্পিং করার আহ্বান জানান এনসিপির এই নেতা।
এনসিপি ফরিদপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দা নীলিমা দোলার সভাপতিত্বে ও নগরকান্দা উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মাদ নাজমুল হুদার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন।
আরও বক্তব্য দেন, মাদারীপুর জেলা প্রধান সমন্বয়কারী শহিদুল হাওলাদার, রাজবাড়ী জেলা সমন্বয়কারী ও সিটি নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ জামিল হোসেন হৃদয়, রাজবাড়ীর এনসিপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ আহমেদ, শরীয়তপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মো. রুহুল আমিন।
এ সময় ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা এনসিপির সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।




Comments